ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রযুক্তিগত অর্থনৈতিক সেবা দিতে আসছে ‘ডি-মানি’ ‌

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
প্রযুক্তিগত অর্থনৈতিক সেবা দিতে আসছে ‘ডি-মানি’ ‌ ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রাপ্ত স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘ডি-মানি লি.’ খুব শীঘ্রই কার্যক্রম শরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। সিনটেক’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরেফ আর. বশির এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির মিলে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি-বেজড প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন।

সংশ্লিষ্ট সুত্র মতে, ডি-মানি শুরুতেই উদ্দীপন অ্যানার্জি লি. (ইউইএল)-এর সঙ্গে চুক্তি সই করেছে।

চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে উদ্দীপনের সেবা গ্রহীতাদের ডিজিটাল কারেন্সি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সেবা দেবে ডি-মানি। উদ্দীপনের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে যারা সাধারণত অর্থের লেনদেন ইলেক্ট্রনিক বা ব্যাংকিং উপায়ে করেন না তারা  ডি-মানির মাধ্যমে লোন নেয়া, টাকা জমার রশিদ কিংবা টাকা ফেরত, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম সংগ্রহ, বিল পরিশোধের মতো প্রয়োজনীয় অনেক কাজ করতে পারবেন। এমনকি সেবাগ্রহণকারীরা নিজেদের ফিচার ফোনের মাধ্যমেও ডি-মানি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্থিক সেবা নিতে পারবেন।  

প্রতিষ্ঠান দুটি বাংলাদেশের এমএফআই সম্প্রদায়ের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সৃষ্টিশীল সেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই।
সারা দেশে জরিপের কাজ সহজে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে টিম বড় করার কাজও শুরু করেছে ডি-মানি। প্রতিষ্ঠানটি মনে করছে এর মাধ্যমে নিজেদের সফটওয়্যার উন্নয়নে অনুদানের অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে যথাযথভাবে।

উল্লেখ্য, ডি-মানি’র ওয়ালেট কিংবা সেবা নিতে গ্রহীতাদের স্মার্টফোন এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন হবেনা। নিরাপদ ডি-মানি এনএফসি প্রযুক্তিসম্পন্ন চিপের মাধ্যমে উক্ত অর্থনৈতিক বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যাবে। যার ফলে ফলে অর্থ লেনদেনের জন্য গ্রাহককে কোনো ব্যাংকে যেতে হবেনা।  
এ বিষয়ে ইউইএল’র চেয়ারপারসন মোঃ ইমরানুল চৌধুরী বলেন, ডি-মানি’র সঙ্গে মিলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগনকে অর্থ-সংক্রান্ত সেবা দিতে আমরা দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।

ডি-মানি ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা আরেফ আর. বশির বলেন, উদ্দীপনের সঙ্গে মিলে কাজ করার ব্যাপারে আমি অনেক বেশি উৎফুল্ল। দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন সেবাগ্রহীতাদের মাঝে আমরা আমাদের সেবার পরিধি বাড়াবো। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ক ডিজিটাল সেবা পৌছে দিতে সক্ষম হবো। এজন্য দেশের প্রতিভাবান আইটি জনবলকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক বিষয়ক বিশ্বমানের ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানে আমরা সচেষ্ট।

সোনিয়া বশির কবির বলেন, আনন্দের সঙ্গে আমি জানাতে চাই যে, ১০০ ভাগ দেশীয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানসম্মত সেবা দিয়ে আমরা বিশ্ব বাজারে এটাকে সমাদৃত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশে নারীদের মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে আমি সবসময়ে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য ডি-মানি অর্থনৈতিক লেনদেনের চিরাচরিত চেহারাই পাল্টে দিবে।

নারী এবং সুবিধাবঞ্চিতদের স্বার্থ রক্ষা পাশাপাশি তাদের মাঝে প্রযুক্তির সুফল পৌঁছে দেয়া আমাদের সকলেরই দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
বিাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।