বয়সটা যদি একটু বেশি হয়ে থাকে, নিশ্চয় সেই সময়ের কথা স্বরণে আছে। যখন কোনো ব্যবসা স্থাপন করতে বা সেবার প্রয়োজনে একটি ফোন নাম্বার খুঁজতে হয়েছে তিন ইঞ্চি মোটা ইয়ালো পেইজের বইয়ে।
প্রযুক্তির কল্যাণে আজ সেই মোবাইল ফোন সারা দুনিয়ায় হয়ে গেছে সহজলভ্য। বাগান মালী থেকে শুরু করে চায়ের দোকানি, মুদি দোকানদারের মতো ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও এখন একটি ফোন নাম্বার দিয়ে পরিচালনা করছেন ব্যবসা।
কিন্তু মাধ্যমটির কোথায় কি পরিবর্তন হয়েছে, আর ফোন নাম্বারগুলোই বা এখন কোথায় খোঁজা হচ্ছে?
কেননা ভারী সেই ফোন নির্দেশিকাগুলো বিলুপ্ত প্রায়।
তাহলে কারোও যদি আপনাকে প্রয়োজন হয় বা আপনার ব্যবসাকে খোজে সেক্ষেত্রে কি করে?
সহজ উত্তর অনলাইনই, এটিই হয়েছে এখন অনুসন্ধানের মূল মাধ্যম!
অধিকাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট বর্তমানে অধিক চাহিদার একটি স্থান, যেখানে নিমিষেই সন্ধান মেলে প্রয়োজনীয় ব্যবসা ও পণ্যের তথ্য। সম্ভাব্য গ্রাহকরা যে কেবল নাম্বার বা ঠিকানার জন্যই অনলাইনে যায় তা নয়, তারা আপনার পণ্য, পর্যালোচনামূলক লেখাপড়া, চমকপ্রদ সব প্রস্তাব আপনার প্রতিযোগির সাথে তুলনা করার উদ্দ্যেশেও যায়। আর এখান থেকই তারা হয়ে উঠে আপনার নিয়মিত গ্রাহক।
আর তাই ব্যবসার অগ্রগতি বা উন্নয়নে অবশ্যই ওয়েবসাইটের প্রতি আপনাকে নজর দিতে হবে।
যার মধ্যে বিশেষ চারটি বিষয় তুলে ধরা হল।
খুজে পাওয়ার ক্ষেত্রে: একটি ওয়েবসাইটে ক্রেতাদের চাওয়া থাকে আধুনিক ও সাম্প্রতিক তথ্য। ক্রেতারা যদি সেই চাহিদার জিনিসগুলো আপনার ওয়েবসাইটে পান, তাহলে সুবিধাটি কাজে লাগিয়ে বলতে পারবেন যে, আপনার নতুন অফারগুলো অদ্বিতীয় ও পরীক্ষণীয়।
আস্থা তৈরিতে: অনলাইন ব্রাউজে ক্রেতারা শুধু তথ্যই খোজেনা, প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতার দিকটিতেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়। যে কারণে একটি পরিকল্পিত ও তথ্যবহুল ওয়েব সাইট ক্রেতা-আস্থা বাড়াতে যথেষ্ট।
ব্যবসার বিস্তার ও ক্রেতা বাড়াতে: যখন ক্রেতারা আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত কিওয়ার্ডস দিয়ে অনুসন্ধান করে, যেমন ‘ঢাকার থাই রেস্টুরেন্ট’বা ‘ঢাকার পার্লার’। ফলাফলে সেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের তথ্য প্রদর্শিত হয়।
অতএব, প্রত্যাশিত ক্রেতাদের ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে একটি ওয়েবসাইট খুব প্রয়োজন। কারণ একটি ওয়েবসাইটই হতে পারে মার্কেটিংয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভ: আপনার প্রতিযোগির একটি ওয়েবসাইট থাকলে নিশ্চয় আপনারও একটি থাকবে এটাই সরলতম হিসাব। প্রযুক্তির এই যুগে ভোক্তা সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অনলাইনে যোগাযোগ রাখে।
তাই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসাকে চব্বিশ ঘন্টা উন্মুক্ত রেখে প্রতিযোগিদের টেক্কা দিয়ে এগিয়ে থাকা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিশেষজ্ঞদের এমন পরামর্শই তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১৬
এমএলএ/এসজেডএম