ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রাস্তা পারাপারে ফোনালাপ থামাতে প্রচারণায় নামবেন তারানা

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৬
রাস্তা পারাপারে ফোনালাপ থামাতে প্রচারণায় নামবেন তারানা ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দিন দিন বাড়ছে মোবাইল ফোন গ্রাহক। অসচেতনতায় রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহারে বাড়ছে ঝুঁকিও।

বিশেষ করে চলার পথে-রেললাইনে হাঁটতে গিয়ে হেডফোনে কথা বলা বা গান শুনতে গিয়ে ঝরছে প্রাণ।
 
অনাকাঙ্খিত এসব দুর্ঘটনা থামাতে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সম্প্রতি নিজ দফতরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব উদ্যোগের কথা জানান তিনি।
 
কথা বলা বা মোবাইল ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা নয়, বরং বিভিন্ন সচেতনতামূলক সামাজিক কর্মসূচি দুর্ঘটনা থামাতে পারে বলে মনে করেন তারানা হালিম।
 
‘মোবাইলে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে কোনোভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ঠিক না বলে আমি মনে করি’।
 
যত্রতত্র হেডফোনে কথা বলা প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, ‘হেডফোনে কথা বলার সময় বাইরের আওয়াজটাই শুনতে পায় না, কান বন্ধ থাকে। এটার জন্য দরকার ম্যাসিভ সোশ্যাল ক্যাম্পেইন’।
 
‘বিশেষ করে রেললাইনের ওপর দিয়ে যখন হাঁটবেন বা রাস্তায় হাঁটবেন, এটা অপারেটর বা আমাদের জানার কথা না। এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা থাকতে হবে। যেমন- রাস্তা যখন পার হই ওই সময় যেন হেডফোনে কথা না বলি। সতর্কতা তৈরি করতে হবে- রাস্তা পারাপারে হেডফোনে কথা বলবেন না’।
 
শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে তারানা হালিম বলেন, ‘তাদের বলবো- যখন স্কুলে আছো, তখন মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকো। এটা তোমার জন্য ভালো- এমন সোশ্যাল ক্যাম্পেইন চালাবো’।
 
‘আমরা সচেতন করতে চাই অভিভাবকদের, সচেতন করতে চাই শিক্ষকদের যেন তারা তাদের সন্তান-ছাত্রদের বলেন সতর্কতার জন্য’।
 
মোবাইল ফোনের অযাচিত ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজে অংশ নেওয়া তারানা হালিম বলেন, ‘অামি সোশ্যাল ক্যাম্পেইন করতেই পারি। সব সময় সোশ্যাল ক্যাম্পেইনে অংশ নেই। আমি পথে-ঘাটের মানুষ, পথে ঘাটে এ ধরনের সোশ্যাল ক্যাম্পেইন সব সময় পছন্দ করি। যেগুলো মানুষের উপকারে আসতে পারে’।
 
‘ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকেও একটা উদ্যোগ নিতে পারি, যেটা অনেক আগেই চিন্তা করেছিলাম, পজেটিভ ইউজ অব ইন্টারনেট। ঠিক একইভাবে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিয়েও হতে পারে। একটি সুন্দর নাম দিয়ে একটা সোশ্যাল ক্যাম্পেইন করতে পারি, যেটা পথচারী-মানুষের উপকারে আসবে’।
 
তিনি বলেন, ‘হেডফোনে কথা বলা নিয়ে একটা ক্যাম্পেইন আমি করবোই। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ব্যাপারে অনেক কাজ করেছি, সেই ধরনের কমিটমেন্ট থেকে সরে আসিনি। এক্ষেত্রে যদি একটা ম্যাসিভ সোশ্যাল ক্যাম্পেইন করতে পারি…’।
 
তারানা হালিম বলেন, এগুলোর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে যাতে তারা শিক্ষার্থীদের বলেন- তোমরা পড়াশোনা করো, তারপর মোবাইল’।
 
‘একজন ছাত্রের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিলে, গুগলে সার্চ দিয়ে জ্ঞানের অনেক কিছু জানার সম্ভাবনাটা কেড়ে নিলেন। সুতরাং সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পেইন করতে পারি’।
 
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথোপকথন ও রাত জেগে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে।
 
‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নিলে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যাম্পেইন করবো’ উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, সোশ্যাল ক্যাম্পেইন করতে বললে করবো। কিন্তু কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাই না’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।