ঢাকা: সন্ত্রাসবাদ বর্তমানে বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা।
বিশ্বব্যাপী সমাজের প্রযুক্তিগত রূপান্তরে প্রভাব বিস্তরকারী তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য টেলিনর গ্রুপের আয়োজন টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম এ বাংলাদেশ থেকে অংশ নিতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এই ফোরামের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল ও গ্রামীণফোনের সেন্টার অব এক্সপারটাইজ পিপলস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন বিভাগের পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন।
এ বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অসলোতে ইয়ুথ ফোরামটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ইয়ুথ ফোরামে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে প্রভাব বিস্তারকারী তরুণেরা অংশগ্রহণ করবেন। প্রযুক্তির উত্থানের এই সময়ে তরুণদের একসঙ্গে কাজ করার একটি মঞ্চ করে দেয়ার মাধ্যমে একটি প্রজন্মের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাই এই ইয়ুথ ফোরামের উদ্দেশ্য। এ বছর এ ফোরামের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে ‘শান্তির জন্য প্রযুক্তি’।
প্রথম ধাপে স্থানীয় ভাবে বাছাই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী, তরুণ শিক্ষাবিদ ও উদ্ভাবকেরা এ প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে, প্রতিযোগীরা কিভাবে ডিজিটাল যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভিন্ন জাতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সমৃদ্ধি এবং প্রকারন্তরে শান্তি ছড়িয়ে দিতে পারে সে বিষয়ে নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসবেন। আগামী ৬ আগস্ট ২০১৬ পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
টেলিনর গ্রুপের ব্যবসা আছে বাংলাদেশসহ এমন ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে দুইজন করে প্রতিযোগী নরওয়ে মূল প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হবেন। ২৮ বছর বয়সের নিচে মুক্তমনা ও দৃঢ়চেতা তরুণ, যাদের ভাবনার জায়গাটা এখনো নবীন ও সৃষ্টিশীল, তারা অসলোর মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হবেন।
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে একটি সংক্ষিপ্ত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় বিচারকদের চূড়ান্ত রায়ে একটি গালা অনুষ্ঠানে তিন ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হবে। এ তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে দু’জন ডিসেম্বরে অসলোতে যাবেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও টেলিনরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক নির্বাচন প্যানেলের মাধ্যমে তিন ফাইনালিস্ট থেকে দুজনকে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। যারা মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিবেচিত হবেন।
গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থী আবরেশমে হক এবং শাবাব রহমান স্থানীয় টেলিনর ইয়ুথ ফোরমে জিতে অসলোতে টেলিনরের মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ইয়ুথ ফোরাম শুধুমাত্র অসলোর মূল প্রতিযোগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং একটি চলমান সংলাপ এবং এবছর থেকে এশিয়ান প্রতিযোগীদের জন্য টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম এশিয়া সামিটও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন গ্রামীণফোন ৫৭ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘চলো বহুদূর’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।
থিম ‘শান্তির জন্য প্রযুক্তি’ প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, আমরা আগে মনে করতাম সন্ত্রাস মানে সিরিয়া, ইরাক, আফগানস্তান ও পাকিস্তানের সমস্যা। এখন এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটে গেছে। তরুণরা যাতে করে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই সমস্যা উত্তোরণে নতুন নতুন পথ বের করতে পারে সেই লক্ষেই এবারের থিম ‘শান্তির জন্য প্রযুক্তি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
এমআইএস/আরআইএস/পিসি