মুক্তি পাওয়ার এক মাসও পূর্ণ হয়নি তাতেই আকাশচু্ম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ভার্চূয়াল রিয়েলিটি গেম পোকেমন গো। এই গেমের সামনে যে রেকর্ডই পড়ছে সেটিই ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে।
বলা হচ্ছে, পোকেমনকে পাকড়াও করতে গিয়ে এর গেমাররা সমাজের জন্য রীতিমত ভয় আর সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছেন। অধিক উত্তেজনার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে এমনকি বাড়ছে একাকী পথ চলার প্রবণতা।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে, পোকমেন গো খেলতে যেয়ে অনেক তরুণকে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটাচলা করতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে নিজ গন্তব্য থেকে অনেক দুরে চলে যাচ্ছেন। মোবাইল ফোনের পর্দায় চোঁখ আর গেমের মধ্যে অধিক মনোযোগ থাকার কারনে ঘটছে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা।
ইতিমধ্যে গেমা খেলা অবস্থায় সেতুর উপর দিয়ে অমনোযোগী হয়ে হাঁটার সময় মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর যত্রতত্র অনধিকার প্রবেশের ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। পোকেমনের যন্ত্রনায় অনেক বাড়ির বাসিন্দা কিংবা পার্কের দর্শরার্থীরা তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারছেন না। কারন যখন তখন যেখানে সেখানে হাজির হয়ে যাচ্ছেন পোকেমন প্রেমীরা। আর এই অনধিকার প্রবেশের দায়ে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন বেশ কয়েকজন গেমার।
জানা গেছে, পোকেমন গেমাররা গেমটি এতটাই পাগল হয়ে খেলছেন যে, এর জন্য তারা গাছে, পুকরে, ব্যস্ত সড়কের মাঝখানে কিংবা উঁচু ভবনের ছাদে উঠে যেতে পিছপা হচ্ছেন না। নিউইয়র্কের এক বাসিন্দা গাছ থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও ভয়ংকর ব্যাপার হল পোকেমন খেলতে খেলতে গাড়ি চালানো। বিষয়টা এখন যুক্তরাষ্ট্রে এতটাই সাধারন হয়ে উঠেছে যে, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় চিন্তার বলি রেখা পড়েছে ওখানকার ট্রাফিক বিভাগের কপালে।
ছিনতাইয়ের টোপ হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছে এই গেমকে। নির্জন স্থানে পোকেমনের অবস্থান জেনে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করে দুষ্কৃতিকারীরা। তারপর কোন গেমার সেখানে গেলে তার সব কিছু কেড়ে নেয়া তারা। যুক্তরাষ্ট্র এবং অষ্ট্রেলিয়াতে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া পোকেমনকে উপজীব্য করে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এত কিছুর পর এই গেমটি নাকি আবার বারোটা বাজাচ্ছে গেমারদের মোবাইল ফোনের। ফোনের ব্যাটারির চার্জ তো বেশিক্ষণ থাকছেই না, আর নানামুখী সমস্যাও দেখা দিচ্ছে ফোনে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এএমডি/এসজেডএম