ঢাকা: একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে আগে ২০টি মোবাইল সিম নিবন্ধনের নির্দেশনা থাকলে এখন তা কমিয়ে আনা হয়েছে।
তাই এখন থেকে একটি এনআইডি দিয়ে পাঁচটি নিবন্ধন করা যাবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সম্পর্তিক কার্য-অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো ডিসি সম্মেলনের লিখিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। তবে বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন না।
তার অনুপস্থিতিতে ওই বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীর উপস্থিতে পাঁচটি সিম নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা সিনিয়র মিজানুর রহমান।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন শুরুর আগের দিন গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সচিবালয়ে এক সভায় একটি এনআইডির বিপরীতে একজন গ্রাহকের সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিমকার্ড নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, এক এনআইডির বিপরীতে ২০টির বেশি সিম থাকলে তা বন্ধ হয়ে যাবে, সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় তা বোঝা যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামে নিবন্ধিত অনেকগুলো সিম জব্দের বিষয়টি ডিসি সম্মেলনের আলোচনায় উঠে আসে।
‘টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জানিয়েছেন-জালিয়াতি ঠেকাতে এক এনআইডি দিয়ে পাঁচটি সিম নিবন্ধন করা যাবে। ’
এ ব্যাপারে রাত সাড়ে দশটার দিকে টেলিযোগাযোগ সচিবের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
চট্টগ্রামে ৭০ হাজার সিম জব্দ করার কথা মিডিয়ায় প্রচারিত হলেও সচিব সম্মেলনে জানান, ওই সংখ্যা ছিলো চার হাজার।
পাঁচটির মধ্যে কোন মোবাইল অপারেটরের কতটি সিম রাখা যাবে বা কবে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে- সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি ডিসি সম্মেলনের লিখিত ব্রিফিংয়ে।
ভুয়া পরিচয় কিংবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন সম্পন্ন করেছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৬, আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ