অ্যাপল আর স্যামসাং এর মধ্যে চলমান পেটেন্ট যুদ্ধের অবসানের কোনো খবর নেই। আইফোনের পেটেন্ট অবৈধভাবে স্যামসাং পণ্যে ব্যবহার হওয়ায় প্রতিষ্ঠান দুটি মামলায় জড়িয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে।
বছর বছর ধরে চলে আসা এই মামলা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতে।
এ মুহূর্তে অ্যাপলের পাশে এসে দাড়িয়েছে বিশ্বের খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার কেলভিন ক্লেইন, পল স্মিথ, আলেকজান্ডার ওয়াং এবং পারসন্স স্কুল অব ডিজাইনের ডিরেক্টর, এডিটর-ইন-চিফ ওয়ালপেপার পত্রিকার টনি চেম্বারস।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাপলকে সমর্থন করা দলটি বলেছেন, আইফোনের পেটেন্ট লঙ্ঘনের দায়ে স্যামসাং এর থেকে অ্যাপল শত শত মিলিয়ন ডলার পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। কারণ পণ্যের স্বতন্ত্র রুপ মানুষকে সেই পণ্যটি কিনতে উৎসাহিত করে।
এ নিয়ে স্যামসাং পক্ষের সিলিকন ভ্যালির বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে বিবাদের ঘটনাও ঘটে। এসময় শতাধিক ডিজাইনার সহ অ্যাপল সমর্থকরা আদালতে ফাইলে সাক্ষর করেন।
ডিজাইনাররা বলছে, ডিজাইন চুরি বিক্রি কমে যাওয়ার বড় কারণ। তাই পেটেন্ট লঙ্ঘনকারী প্রতিষ্ঠানটির পুরো মুনাফা অ্যাপলের পাওয়া উচিত।
তাছাড়া এতে আমাদের কোনো আর্থিক স্বার্থ নেই। তবে আমরা চাই এই মামলার রায় যেন নজির সৃষ্টি করার মতো হয়।
এদিকে স্যামসাং পক্ষে রয়েছে দ্য ইন্টারনেট অ্যাসোসিয়েশন এবং সিলিকন ভ্যালির ফেসবুক এবং গুগলের আলফাবেট ইউনিট।
ট্রেড গ্রুপটির মত, ফেডারেল সার্কিটের এ সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি শিল্পের জন্য ভয়ানক। পেটেন্ট ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে সাউথ কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তি এবং আইফোনের নকশা চুরির অভিযোগে মামলা করে অ্যাপল।
২০১২ সাল থেকে জুরির রায় আসলেও আপিল করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ গত বছর ডিসেম্বরে ৫৪৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপুরণ দেয়ার পাকা কথা থাকলেও পুনরায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে স্যামসাং। যে সময় ইউএস কোর্ট অব আপিল ফর দ্য ফেডারেল সার্কিটের রায় তুলে ধরে এই অর্থ অতিরিক্ত বলে মনে করা হয়।
আপিল কোর্ট যখন বলেছিল শুধুমাত্র আইফোনের চেহারা ট্রেডমার্কের মাধ্যমে সুরক্ষিত করা যাবেনা।
উল্লেখ্য, মার্চে সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটি স্যামসাং পুন:বিবেচনার অনুরোধ করলে আদালত রাজী হয়ে বলেন এই পেটেন্ট কেবল পণ্যের কম্পোনেন্টে ব্যবহার হলে পণ্যটি থেকে আসা পুরো মুনাফা ক্ষতিপুরণ হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৬
এসজেডএম