জনপ্রিয় মেসেজিং প্লাটফর্ম হাইক ম্যাসেঞ্জারের ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়েছে। বিষয়টিকে বিশাল এক অর্জন হিসেবে দেখছে ভারত ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতি মাসে ৪০ বিলিয়ন মেসেজ বিনিময় হওয়া এই প্লাটফর্মের প্রতিটি ব্যবহারকারী এখানে প্রতি সপ্তাহে ১২০ মিনিট সময় ব্যয় করেন।
হাইকের ১০ কোটি ব্যবহারকারীর প্রায় ৯৫ শতাংশই প্রতিষ্ঠানটির নিজ দেশের। যার মধ্যে ৯০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে।
প্রতিষ্ঠানের দাবি, বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে মেসেজ বিনিময় হয় হাইক অ্যাপে। এখানে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে কয়েকটি বিষয় প্রধান সমর্থকের কাজ করছে। সেগুলো হচ্ছে অভিব্যক্তি প্রকাশের কনটেন্ট যার ৪০টি ল্যাঙ্গুয়েজে ১০ হাজারের বেশি স্টিকার পাওয়া যায়, বহুভাষী ব্যবহারকারী ইন্টারফেস এবং গোপনীয়তায় প্রাধন্য সহ ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও ফ্রি এসএমএস পাঠানোর সুযোগ। এই তনিটি সুবিধা ব্যবহারকারীদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছে।
হাইক মেসেঞ্জারের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা কেভিন ভারতি মিত্তাল এক অনুষ্ঠানে বলেন নতুন এই অর্জনের ঘোষণা দিতে গিয়ে আমি অত্যন্ত রোমাঞ্চিত। ব্যবহারকারী বৃদ্ধি একটি মাইলফলক আর প্রতিষ্ঠানের আয় বৃদ্ধির পেছনে অবদান বিনিয়োগকারীদের।
বিশেষকরে টেনসেন্ট এবং ফক্সকন সম্পর্কে তিনি বলেন উভয়েরই ভাল পরিচিত আছে যেটা তাদের সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপনে সহয়তা করে। আর আজকের বাজারে বিনয়োগ করা রীতিমতো শক্তিশালী অবস্থানটিই প্রমাণ করে। যেটা হাইকের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ফান্ড বৃদ্ধি হাইককে সর্বোচ্চ উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
তথ্য মতে, টেনসেন্ট এবং ফক্সকন টেকনোলজির বিনিয়োগে হাইকের তহবিল বেড়েছে ১৭৫ মিলিয়ন ডলার। হাইকে এটা চতুর্থ বাণিজ্যিক মূলধন এবং সর্বোচ্চ বিনিয়োগ। সফটব্যাঙ্ক গ্রুপ, টাইগার গ্লোবাল, সফটব্যাঙ্কও এই বিনিয়োগ চক্রে যোগ দিয়েছে।
হাইকে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়নের বেশি। প্রতিষ্ঠানটির এখন অধিগ্রহনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৬
এসজেডএম