ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জালিয়াতি করে নিবন্ধিত ভুয়া সিম বাজারে পাওয়া গেলে অপারেটরদের সিম প্রতি ৫০ ডলার জরিমানা গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বিটিআরসি এ বিধান কার্যকর করতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটরদের এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিটিআরসি কার্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন পরবর্তী অবস্থা নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
২০১২ সালে প্রি-অ্যাকটিভ সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তা ধরা পড়লে সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিটিআরসি। তবে তা কার্যকর হয়নি।
ভুয়া সিম নিবন্ধন প্রসঙ্গে তারানা হালিম বলেন, লাখ লাখ সিম অন্যর নামে নিবন্ধন করার তথ্য ঠিক নয়। কয়েক হাজারের ঘরেও না, কিছু সামান্য যা আছে
গ্রাহকের অসচেতনতায় হয়েছে। সেটাও বন্ধ করতে চাই।
তিনি বলেন, প্রতিটি মোবাইল ফোন অপারেটরকে আমরা ক্লোজলি মনিটর করছি, বাজারে অন্যর নামে অজান্তে বায়োমেট্রিক ভেরিফাই সিম পাওয়া গেলে অপারেটরদের ৫০ ডলার জরিমানা করার জন্য শিগগিরই বিটিআরসি চিঠি পাঠাবে।
সাত দিনের মধ্যে চিঠিটা অপারেটরদের কাছে চলে যাবে, কোনো অপারেটরের এ ধরনের সিম পাওয়া গেলে তাদের ৫০ ডলার করে জরিমানা করতেই হবে।
গত বছরের ডিসেম্বরে শুরুর পর এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৪ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত রয়েছে বলেও জানান তারানা হালিম।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় পর অবৈধ আন্তজার্তিক কলের পরিমাণ কমে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানান বিটিআরসি
চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৬/আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি