ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ফেসবুকের অর্থায়নে সিআইএ!

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
ফেসবুকের অর্থায়নে সিআইএ!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিরুদ্ধে বেশ জটিল ও স্পর্শকাতর অভিযোগ নিয়ে আবারো প্রকাশ্যে এলো ফেসবুকের কথিত মালিকানার দাবিদার পল সাগলিয়া।

তার দাবি, ফেসবুকের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইএ এর অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান ইন-কিউ-টেল এর।

সোজা কথায় বলতে গেলে, ফেসবুকের অর্থায়নে সরাসরি ভূমিকা রয়েছে সিআইএ’র অর্থ লগ্নীকারী এই প্রতিষ্ঠানটির।

পল সাগলিয়ার এমন দাবি তো রয়েছে, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাটির হাতে তার মৃত্যুও হতে পারে সেই আশঙ্কার মধ্যেও রয়েছেন তিনি।
কেননা গোয়েন্দা সংস্থাটির অনেক গোপন তথ্যই নাকি তার জানা।

এর আগেও তিনি  ফেসবুকের ৮৪ শতাংশ মালিকানার দাবিদার বলে আদালতে মামলা করেছিলেন।
২০০৩ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জাকারবার্গের সঙ্গে তার রীতিমতো চুক্তি হয়েছিল বলে দাবি করা হয় ২০১০ সালের সেই মামলায়।

সেই সূত্রে তিনি ফেসবুকের অর্ধেকেরও বেশী মালিকানার দাবিদার। তারপর আরও অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে অবশেষে আদালতে প্রমাণিত হয় ফেসবুক মালিকানার দাবিদার পলের সব কাজগপত্রই ছিল আসলে নকল।

২০১৫ সালের মার্চে গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় একদিন সপরিবার উধাও হয়ে যান ৪৩ বছর বয়সী পল। তারপর ঘাম ঝড়িয়েও আর তার অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। সর্বশেষ তাকে ধরিয়ে দিতে ৫ হাজার ডলারের পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তাতেও কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না পলের।

সেই ঘটনা যখন জনমনে ফিকে হতে শুরু করেছে ঠিক সেই মুহূর্তে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লুমবার্গে পরপর ৪টি ইমেইল করে আবার আলোচনায় চলে আসলেন পল সাগলিয়া।

তথ্য মতে, আগষ্টের ৪ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে করা ইমেইলে পল দাবি করেছেন, তিনি বেঁচে আছেন এবং দেশান্তরী হয়ে পালিয়ে আছেন। তবে কোথায় বা কোন দেশে পালিয়ে আছেন সে বিষয়ে বলেননি কিছু।

তিনি মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলে অন্য যে কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই ম্যাকগাইভারের মত কৌশল খাটিয়ে সিআইএ’র চোঁখ ফাঁকি দিয়ে ভিনদেশে পালিয়ে আছেন। ইতিমধ্যে আশ্রয়ও প্রার্থনা করেছেন সেই দেশে, তবে কোন দেশ তা জানাননি।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে নিজের প্রতিষ্ঠান স্টিটফক্স ডটকমের প্রোগ্রাম লেখার জন্য পল নিয়োগ দিয়েছিলেন মার্ক জাকারবার্গকে। তখনই নাকি একটি পকল্পের জন্য জাকারবার্গকে অর্থ দিয়েছিলেন তিনি, পরে যেটার নাম হয় ফেসবুক।

শুধু তাই নয় ফেসবুকের জন্য স্টিটফক্সের সার্চ ইঞ্জিনও ব্যবহার করেছিলেন জাকারবার্গ।
তবে পলের এতোসব দাবির বিপরীতে জাকারবার্গের সাফ জবাব এসব মিথ্যা। আমার সাথে তার শুধু স্টিটফক্স নিয়েই চুক্তি হয়েছিল, এর বাইরে আর কিছু নয়।

বাংলাদেশ সময়:১২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।