পার্কিং এরিয়ার অগণিত গাড়ির ভিড়ে অনেকসময় গাড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনটা ঘটে সাধারণত গাড়ি পার্ক করে শপিং’এ গেলে।
অনেকে অ্যালার্ম দেয়ার জন্য গাড়ির কি’র প্যানিক বাটন ক্লিক করতে করতে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এটি হতে পারে হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর।
গাড়ির খোঁজখবর রাখতে ব্যয়বহুল জিপিএস সিস্টেম ইন্সটলের আর প্রয়োজন নাই। এসে গেছে ছোট্ট একটি ডিভাইস। যেটা জানাবে গাড়ির সন্ধান। সেইসঙ্গে ব্যবহারে নেই কোনো খরচের চিন্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক নতুন এক প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিটি তৈরি করেছে। ট্র্যাকআর নামের ক্ষুদে ডিভাইসটি কাজ করে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। আর এটি সেই কাজটি ঠিকঠাকভাবে করে যা ব্যবহারকারী চা্ইছে।
উদ্ভাবকরা বলছেন, ট্র্যাকআর অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং ব্যবহারকারী যে জিনিসটির সন্ধান করছেন তা যথাযথভাবে করতে সক্ষম।
বর্তমানে এসব সেবা পেতে গ্রাহককে অনেক টাকা ব্যয় করতে হয়, এটা কতোটা চাপপূর্ণ হতে পারে তা অনুধাবন করেছি। আর এই কারণে ট্র্যাকআর তৈরি করেছি। যখন মানুষের জীবনে দেখভাল বেশ প্রয়োজনীয় তখন এটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য মতে, বিশ্বব্যাপী ১.৫ মিলিয়ন এর বেশী বিক্রি হয়েছে ট্র্যাকআর। বাজারের অত্যাধুনিক ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলোর সাইজের চার ভাগের এক ভাগ হবে এটি।
মানুষের জীবনে বিশেষ জিনসপত্রগুলোর দেখাশোনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান পদ্ধতিতে এটি পরিবর্তন এনেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কাজের ধরণও বেশ সহজ। স্মার্টফোনে ফ্রি অ্যাপটি ইন্সটল করলে বাহিরে বেরোনোর পর কোনো চিন্তা থাকবেনা। সেটিংসের পুরো পক্রিয়াটি ৫ মিনিট বা তার কমও লাগতে পারে।
এরপর চাবির রিং, ব্রিফকেস, ওয়ালেট, আধুনিক প্রযুক্তি পণ্য অর্থাৎ যা হারানোর ইচ্ছা নেই এমন সব পণ্যে সংযুক্ত করা যাবে।
আর খুঁজে না পেলে ফট করে স্মার্টফোনটি বের করে ট্র্যাকআর অপেন করতে হবে। এরপর পর্দার ‘ফাইন্ড ডিভাইস’ বাটনে টোকা দিলে সবশেষ অবস্থানগুলো জানাতে থাকবে এটি।
ডিভাইসটির ব্যবহারকারী বলছে, আজকের দিনের বাজারের অধিকাংশ জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইসের তুলনায় এর দাম মাত্র ২০ ডলার। অনেক টাকা এবং সময় বাঁচিয়ে দেয় এটি। তাই ব্যয়বহৃল জিপিএস সিস্টেম সার্ভিসের কথা ভুলে যাও। কারণ কেহই চাই না প্রতিমাসে অতিরিক্ত টাকা ফি দিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এসজেডএম