ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণে হাইকোর্টের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণে হাইকোর্টের অনুমোদন

ঢাকা: বেসরকারি দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেল একীভূত হতে অনুমোদন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
 
বুধবার (৩১ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদের একক বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।


 
আদালতে বিটিআরসি’র পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই রাকিব। রায়ের বিষয়টি তিনিই বাংলানিউজকে জানান।
 
রবি’র পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব-উল আলম, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।  
 
একীভূত কোম্পানি রবি নামেই বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করবে।
 
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গত ১ আগস্ট দুই অপারেটরের ব্যবসা একীভূত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায়।  
 
গত ১৩ জুলাই সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বৈঠকে একীভূতের জন্য মার্জার ফি একশ’ কোটি এবং তরঙ্গ ফি ৫০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। একীভূত কেম্পানি রবি’কে এ ফি দিতে হবে।  
 
ওই সময় টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, মার্জারের জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে আদালতে।  
 
বিটিআরসি জানায়, ২০১১ সালে টুজি লাইসেন্স নবায়নে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের যে মূল্য ছিল তা হিসাব করেই একীভূত তরঙ্গ মূল্যে ৫০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৫ মেগাহার্টজ থ্রিজি তরঙ্গ একীভূত করতে কোনো ফি দিতে হচ্ছে না।
 
বর্তমানে রবি’র ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ এবং এয়ারটেলের ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে। এয়ারটেলের টুজি লাইসেন্সের মেয়াদ আছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। একীভূত হওয়ার পর যা হবে ৩৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ।
 
আর গ্রামীণফোনের রয়েছে ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ, যা অন্য সব অপারেটরের চেয়ে বেশি।
 
রবি-এয়ারটেল মার্জার বা একীভূত করা নিয়ে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি গণশুনানি করে বিটিআরসি।
 
দুই কোম্পানি একীভূত করতে ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর রবি আজিয়াটা লিমিটেড জানায়, একীভূত কোম্পানি রবি নামেই বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করবে।  
 
একীভূত করতে দেশের অপর চার অপারেটরের মতামত নেয় বিটিআরসি, গত ৮ ফেব্রুয়ারি চার অপারেটর ইতিবাচক মত দেয়। রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার প্রভাব বিশ্লেষণে বাজার সমীক্ষারও উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি।
 
এক হওয়া নিয়ে রবি-এয়ারটেলের চুক্তি সম্পাদনের ফলে শেয়ার মূলধনের পুনর্বিন্যাস করা হবে। এতে আজিয়াটা ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ ও ভারতী ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করবে। বাকি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বর্তমানের অপর শেয়ারহোল্ডার জাপানের এনটিটি ডকোমোর কাছে থাকবে।
 
চুক্তির পর চুক্তির কার্যকারিতা বিটিআরসি, সরকার এবং আদালতের অনুমোদন পাওয়ার ওপর নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করে যৌথ ঘোষণায় দুই অপারেটর জানায়, এ প্রক্রিয়া আগামী দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
 
দুই কোম্পানি এক হলে বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। বর্তমানে গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে গ্রামীণফোন সবার শীর্ষে।
 
বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম একীভূত করার সম্ভাবনার বিষয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেয় দুই কোম্পানি। রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতী এয়ারটেল। এর আগে তারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।
 
এশিয়ার বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আজিয়াটা অন্যতম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পাশাপাশি কম্বোডিয়া, ভারত ও সিঙ্গাপুরেও তাদের ব্যবসা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬/আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা
ইএস/এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।