ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, না এটা আমাদের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নয়। ফেসবুক কখনও মিডিয়া কোম্পানিতে পরিণত হবেনা, টেকনোলজি প্লাটফর্ম হিসেবেই টিকে থাকবে।
ইতালিয়ান এক তরুণের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ইউনিভার্সিটির সেই শিক্ষার্থী জাকারবার্গের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, ফেসুবকের কি মিডিয়া কোম্পানি হওয়ার কোনো ইচ্ছা আছে কিনা।
ফেসবুক সিইও’র এই মন্তব্যকে ঘিরে এখন বলাবলি হচ্ছে ফেসবুক, টুইটারেরর মতো স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হলো তারা সেখানে খবরের সন্ধানে যায়। কিন্তু জাকারবার্গ বলছে, তার প্রতিষ্ঠানের কনটেন্ট প্রোভাইডার হওয়ার ইচ্ছা নেই।
এছাড়া যখন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কাছে খবর সরবরাহের কার্যক্রমটি একেবারে স্পষ্ট এবং পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তথ্য লাভের ব্যাপক সুবিধা রয়েছে, তখন জাকারবার্গ বলছে আমরা টুলস তৈরি করি কোনো কনটেন্ট তৈরি করিনা।
রোমের লুইস ইউনিভার্সিটিতে জাকারবার্গের দেয়া বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরে আরো বলা হয়, আজকের এই বিশ্বে নিউজ প্রতিষ্ঠান সহ টেক প্লাটফর্ম এর প্রয়োজন রয়েছে। যেমন আমরা যা করছি।
এছাড়া আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি।
উল্লেখ্য, ইতালীর ভূমিকম্পের পর ফেসবুক সিইও এবং তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান সেখানে যান এবং পোপ ফ্রান্সিসের সাথে দেখা করেন। এ সময় আকিলার একটি মডেল উপহার দেন পোপকে এবং হালকা ওজেনর সৌরশক্তি চালিত এই ড্রোন সম্পর্কে জানান, যে সব স্থানে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নেই সেখানে ইন্টারনেট পৌছে দিতে এটি ব্যবহার হবে।
সিলিকন ভ্যালির অ্যাপল সিইও টিম কুক এবং আলফাবেটের প্রধান এরিক স্মিটের মতো নেতাদের সাথেও আলোচনা হয় পোপের।
পোপের সাথে আলোচনার পর পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইলে ফেসবুকের সিইও পোষ্টে বলেন, মানুষের যোগাযোগ রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষকরে বিশ্বের যেসব স্থানে ইন্টারনেট সুবিধা নেই তা নিয়ে।
একইদিনে তিনি ইতালির প্রধান মন্ত্রীর সাথেও সাক্ষাত করেন যিনি তার দেশের সীমিত ইন্টানেট অবকাঠামোর উন্নত করার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
এসজেডএম