ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক নম্বরে সব অপারেটরের সেবার নিলাম পেছালো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৬
এক নম্বরে সব অপারেটরের সেবার নিলাম পেছালো

ঢাকা: মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের (এমএনপি) জন্য নিলামের সময় এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে।

নতুন সময় অনুযায়ী, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এমএনপি সেবার নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

এর আগে এমএনপি নিলাম হওয়ার কথা ছিলো ২১ সেপ্টেম্বর।

বিটিআরসি সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দক্ষতার সঙ্গে এমএনপি নিলামে আগ্রহী অপারেটরদের জন্য নিলামের অন্যান্য সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ, ১৮ সেপ্টেম্বর বিড আর্নেস্ট মানি প্রদান, ২০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন গ্রহণ/বর্জন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আবেদনপ্রার্থীদের নতুন সূচি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এর আগে গত ৯ আগস্ট নিলামের আবেদনের সময় ২২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোসহ অন্যান্য ইভেন্টের সূচি পরিবর্তন করা হয়।

চলতি বছরের ১৪ জুন সংবাদ সম্মেলন করে নিলামের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।

গ্রাহকরা ৩০ টাকা চার্জ দিয়ে ৯০ দিনের জন্য চলতি বছরের শেষে অপারেটর বদল করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যান।

বিটিআরসি’র ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথ‌মিকভাবে ১৫ বছর লাইসেন্সের মেয়াদ রেখে এমএন‌পি সেবা উন্মুক্ত করা হবে।

এমএনপি সেবার জন্য সরকার একটি অপারেটরকে লাইসেন্স দেবে জানালেও এতে বাংলাদেশি কোনো ‌মোবাইল ফোন অপারেটর অংশ নিতে পারবে না।

আবেদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং এমএনপি সেবায় নূন্যতম ১ কোটি গ্রাহককে সেবা দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রাথমিকভাবে লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ১৫ বছর, পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে।

আগ্রহী প্র‌তিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা ‌ফি দিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিড আর্নেস্ট মানির পরিমাণ ১০ লাখ টাকা, লাইসেন্স ফি নিলামের মাধ্যমে নির্ধারিত হলেও ভিত্তি মূল্য হবে ১ কোটি টাকা।

লাইসেন্সধারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ফি দিতে হবে ২০ লাখ টাকা। রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ প্রথম বছর কোনো ফি না দিলেও দ্বিতীয় বছর থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ দিতে হবে ১ কোটি টাকা।

এমএনপির নেটওয়ার্ক রোল আউট অনুযায়ী, দেশের মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর মধ্য থেকে লাইসেন্স প্রাপ্তির পরে ১৮০ দিনের মধ্যে ১ শতাংশ, ১ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ এমএনপি সেবা দিতে হবে।

লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ১৮০ দিনের মধ্যে ১ শতাংশ সেবা সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে তাদের জমাকৃত ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে ৫০ শতাংশ কমিশনের অনুকূলে নগদায়ন করা হবে।

এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রোল-আউট টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে অবশিষ্ট ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নসহ লাইসেন্স বাতিল করে পরবর্তী বিডারকে লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানায় বিটিআরসি।

গত বছরের মাঝামাঝিতে এমএনপি নীতিমালা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায় বিটিআরসি। ওই বছরের ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালার অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।

এরপর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন শেষে নিলাম প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।