ঢাকা: যাত্রা শুরু করেছে জিপি অ্যাক্সেলারেটরের দ্বিতীয় ব্যাচ। মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউজে জিপি অ্যাক্সেলারেটরের দ্বিতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের উপস্থিতিতে জিপি অ্যাক্সেলারেটরের দ্বিতীয় ব্যাচ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে গ্রামীণফোন। জিপি অ্যাক্সেলারেটরের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হওয়া।
দ্বিতীয় ব্যাচে ‘ক্র্যামস্টেক’, ‘সোশিয়ান’, ‘সি-মেড’, ‘বাজঅ্যালী’ এবং ‘ঘুড়ি’ স্থান পেয়েছে।
এসডি এশিয়ার সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে জিপি অ্যাক্সেলারেটর প্রোগ্রাম বাংলাদেশি টেক স্টার্টআপদের সাহায্য করে আসছে। চার মাসব্যাপী এই প্রোগ্রামে টেক স্টার্টআপদের জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং এবং মেন্টরশিপ দেয়া হয়।
এছাড়া প্রত্যেক স্টার্টআপের জন্য ১১ লাখ টাকা সিড ফান্ডিং, জিপি হাউজে অফিস স্পেস এবং নেটওয়ার্কিংসহ গ্রামীণফোনের বিভিন্ন টেকনিক্যাল সুবিধা ব্যবহারের সুযোগ থাকছে।
দ্বিতীয় ব্যাচের যাত্রা শুরু করায় গ্রামীণফোনকে অভিনন্দন জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং এ দেশের তরুণদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ দিতে পারে, যা তরুণদের জঙ্গিবাদের প্রভাবমুক্ত থাকতে সাহায্য করবে। সরকার তরুণ প্রজন্মকে সহায়তা দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং গ্রামীণফোনে মত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
স্টার্টআপগুলোকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন জিনিসের জন্য দেশে এবং আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য সকল অপারেটরের সমান সুযোগ দিতে চাই। অন্য অপারেটরও এগিয়ে আসুক।
বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ শিল্প পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সেই কথা মাথায় রেখে অপারেটররাও কাজ করছে। বাংলাদেশে টেলিডেনসিটি ৩৯ শতাংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গর্বের বিষয় হচ্ছে এতে তরুণদের সংখ্যা অনেক বেশি। আগামী দু’এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে স্মার্টসিটি হবে বলে আশা করেন চেয়ারম্যান। এ সময় বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রশংসা করেন চেয়ারম্যান।
নতুন ব্যাচকে স্বাগত জানিয়ে জিপির সিইও রাজিব শেঠি বলেন, জিপি অ্যাক্সেলারেটর এর স্টার্টআপগুলো আমাদের প্রতিদিনই মনে করিয়ে দেয় গতি, তৎপরতা ও সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মনোনিবেশ করার দক্ষতাই আসলে সফলতার দিকে নিয়ে যায়। গ্রামীণফোন বাংলাদেশ সরকার এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে সাথে নিয়ে বিশ্বের স্টার্টআপ মানচিত্রে বাংলাদেশকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
গ্রামীণফোনের হেড অফ ট্রান্সফর্মেশন কাজী মাহবুব হাসান বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথম বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ তৈরির মিশনে নেমেছি।
এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মোস্তাফিজুর আর খান বলেন, নির্বাচিত স্টার্টআপকে দ্রুত অগ্রসর হতে শেখানো এবং অারো প্রতিশ্রুতিশীল ব্যবসার সাথে একটি শিক্ষামূলক পরিবেশে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে।
দ্বিতীয় ব্যাচের পাঁচটি স্টার্টআপ
ক্র্যামস্ট্যাক: ডাটা অ্যানালিটিকস প্ল্যাটফর্মটি অ্যানালিটিকস পাইপলাইন ও মডেল ব্যবহারের মাধ্যমে এন্টারপ্রাইজ ডাটা থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে।
সোসাইন: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে মানুষ ব্র্যান্ড সম্পর্কে কী বলছে এবং কী ভাবছে, এ নিয়ে পদ্ধতিগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করার অ্যানালিটিক প্ল্যাটফর্ম।
সিএমইডি: এটি কম খরচে ও সাশ্রয়ী উপায়ে স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্লাউড ভিত্তিক মেডিকেল ব্যবস্থা।
বাজঅ্যালি: ব্র্যান্ডগুলোর জন্য মোবাইল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে। গ্রাহকদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে আরও উন্নত অভিজ্ঞতা দিতে অডিয়েন্স টার্গেটিং নিয়ে কাজ করে। এদের প্রথম উদ্ভাবনী পণ্যটি হচ্ছে মিসড কল মার্কেটিং।
ঘুড়ি: বাংলাদেশ ও দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী হোটেল ও ট্যুর প্যাকেজ রিজার্ভেশন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস/আরআই