ঢাকা: মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলে (এমএনপি) নিলামের জন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রকাশ করে।
এক সপ্তাহ পিছিয়ে নতুন সময় অনুযায়ী আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এমএনপি সেবার নিলাম অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। আগে এমএনপি নিলাম হওয়ার কথা ছিল ২১ সেপ্টেম্বর।
বিটিআরসি জানায়, ১৮টি প্রতিষ্ঠান আবেদন গ্রহণ করে ৬টি জমা দেয়। এর মধ্যে ৫টিকে যোগ্য ঘোষণা করা হয়।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর বিড আর্নেস্ট মানি প্রদান, ২০ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন গ্রহণ/বর্জন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর পরামর্শক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছরের ১৪ জুন সংবাদ সম্মেলন করে নিলামের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
গ্রাহকরা ৩০ টাকা চার্জ দিয়ে ৯০ দিনের জন্য চলতি বছরের শেষে অপারেটর বদল করতে পারবেন বলে জানিয়েছিলেন চেয়ারম্যান।
বিটিআরসি’র ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে ১৫ বছর লাইসেন্সের মেয়াদ রেখে এমএনপি সেবা উন্মুক্ত করা হবে।
এমএনপি সেবার জন্য সরকার একটি অপারেটরকে লাইসেন্স প্রদান করবে জানালেও এতে বাংলাদেশি কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর অংশ নিতে পারবে না।
আবেদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কাজে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং এমএনপি সেবায় নূন্যতম ১ কোটি গ্রাহককে সেবা প্রদানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
প্রাথমিকভাবে লাইসেন্সের মেয়াদ হবে ১৫ বছর, পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে।
আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা ফি দিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিড আর্নেস্ট মানির পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। লাইসেন্স ফি নিলামের মাধ্যমে নির্ধারিত হলেও ভিত্তি মূল্য হবে ১ কোটি টাকা।
লাইসেন্সধারী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাৎসরিক ফি প্রদান করতে হবে ২০ লাখ টাকা। রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ প্রথম বছর কোনো ফি না দিলেও দ্বিতীয় বছর থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থ প্রদান করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ দিতে হবে ১ কোটি টাকা।
এমএনপির নেটওয়ার্ক রোল আউট অনুযায়ী, দেশের মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির পরে ১৮০ দিনের মধ্যে ১ শতাংশ, ১ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং ৫ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ এমএনপি সেবা প্রদান করতে হবে।
লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ১৮০ দিনের মধ্যে ১ শতাংশ সেবা সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে তাদের জমাকৃত ব্যাংক গ্যারান্টি থেকে ৫০ শতাংশ কমিশনের অনুকূলে নগদায়ন করা হবে।
এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রোল-আউট টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে অবশিষ্ট ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নসহ লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী বিডারকে লাইসেন্স প্রদান করা হবে বলে জানায় বিটিআরসি।
বিটিআরসি গত বছরের মাঝামাঝি এমএনপি নীতিমালা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায়। ওই বছরের ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
এরপর স্বচ্ছতা আনতে নীতিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন শেষে নিলাম প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএস