ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নিয়ে বিটিআরসি’র বিজ্ঞপ্তি স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নিয়ে বিটিআরসি’র বিজ্ঞপ্তি স্থগিত

ঢাকা: সিটিসেল গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের আহ্বান করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেওয়া বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সিটিসেলের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এ আদেশের পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করেন।

গত ৩১ জুলাই (রোববার) সিটিসেলের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দুই সপ্তাহের মধ্যে বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য গ্রাহকদের আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট আরো দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।

বিটিআরসি’র লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক (লাইসেন্সিং) এম.এ. তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ণিত অবস্থায় পিবিটিএল (সিটিসেল) এর গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিকল্প সেবা/ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হলো।

১৯৮৯ সালে বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স পায় সিটিসেল। বর্তমানে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের মালিকানাধীন প্যাসিফিক মোটরস।

সিংগাপুরের সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হাতে রয়েছে ৪৫ শতাংশ। এছাড়া ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের হাতে।

এদিকে, সরকারের রাজস্ব, টেলিযোগাযোগ সেক্টরের শৃংখলা বজায় রাখা ও জনস্বার্থ বিবেচনায় সিটিসেলের গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সবার এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

সব থেকে পুরনো এবং দেশের একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটরটি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড নামে ব্যবসা করে আসছে।

বিটিআরসি’র সবশেষ জুন মাসের হিসেবে দেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৬ হাজার, যার মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহক মাত্র ৭ লাখ ২ হাজার।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন থেকে ২০১২ সালের ৭ আগস্ট পিবিটিএল’র (সিটিসেলে) সেল্যুলার মোবাইল ফোন অপারেটর লাইসেন্সসহ ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্জ তরঙ্গ নবায়ন করা হয়।
 
‘উক্ত লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সিটিসেল তরঙ্গ নবায়ন ফি’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির অর্থ নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও অদ্যবধি পরিশোধ করেনি। ’

বিটিআরসি জানায়, সর্বশেষ সিটিসেলের কাছে টুজি মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট তরঙ্গ নবায়ন ফি’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তি বাবদ ২২৯ কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি বাবদ ১০ কোটি টাকা, বার্ষিক স্পেকট্রাম ফি (২০১৩-২০১৬ সাল) বাবদ প্রায় ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৩ টাকা, রেভিনিউ
শেয়ারিং (২০১৪-২০১৬ সাল) বাবদ আনুমানিক ২৭ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার ৭২০ টাকা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (২০১১-২০১৬ সাল) বাবদ প্রায় ৮ কোটি ৯২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ টাকা এবং প্রযোজ্য ভ্যাট বাবদ প্রায় ৩৯ দশমিক ৯২ কোটি টাকা ও বিলম্ব ফি বাবদ প্রায় ১৩৫ দশমিক ০৭ কোটি টাকা অর্থাৎ সর্বমোট প্রায় ৪৭৭ দশমিক ৫১ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব বকেয়া রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।