গুগলের প্রজেক্ট জিরো শুরু করছে অ্যান্ড্রয়েড হ্যাকিং কনটেস্ট, এতে অংশ নিয়ে অ্যান্ড্রয়েডের বাগ বা ক্রুটি সংক্রান্ত দিকগুলো খুঁজে বের করতে পারলে জেতা যাবে ২ লাখ ডলার পুরস্কার। গত সপ্তাহে প্রজেক্ট জিরো টিম এ প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেয়।
তাই হ্যাকিং যদি হয়ে থাকে নেশা, তবে এই গোষ্ঠীর সদস্য এবং সিকিউরিটি এক্সপার্টরা নিশ্চয় বিশাল মূল্যের পুরস্কারটি পেতে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু হ্যাকিং এর জন্য অ্যান্ড্রয়েডের আধুনিক অপারেটিংকে নিজেদের অনুকুলে রাখার দক্ষতা থাকতে হবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্লগ পোষ্টে সংশ্লিষ্ট একজন লিখেছেন, প্রতিযোগিদেরকে বাগ শনাক্ত করে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ফোন নাম্বার এবং ইমেইল অ্যাড্রেস জেনে কোডিং এর কাজ করতে হবে।
অ্যান্ড্রয়েড ওএস এর নিরাপত্তাজনিত সমস্যা খুজে তা সংশোধনের জন্য টিম প্রজেক্ট জিরো প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৪ সালে। তাই সেখান থেকে জানার সুযোগও রয়েছে। সেখানে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের সর্বত্র সমাদৃত এই ওএস বিষয়ক অনেক সমস্যা ও ক্রুটির তথ্য রয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনে ইচ্ছুকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়মাবলীও আছে।
যেমন সমস্যাগুলো উপস্থাপনের জন্য প্রতিযোগিরা ৬ মাস সময় পাবে। তাদের গবেষণা অ্যান্ড্রয়েড ইস্যু ট্র্যাকার রিপোর্ট ফর্মে পাঠাতে হবে। এরপর তা প্রজেক্ট জিরো টিম বিবেচনা করবেন।
একজন প্রতিযোগির পাঠানো একটি বাগ কেবল ঐ প্রতিযোগি প্রতিযোগিতার শেষে কাজে লাগাতে পারবে। এছাড়া হ্যাকিং বিষয়ক পুরো বিস্তার তুলে ধরতে হবে। আর সবশেষে প্রজেক্ট জিরো ব্লগে তা প্রকাশের সুযোগ রয়েছে।
প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ২ লাখ ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার ১ লাখ ডলার এবং অন্যান্য প্রতিযোগিদের মধ্যে ৫০ হাজার ডলার ভাগাভাগি করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রয়েড সিকিউরিটি রিওয়ার্ড প্রোগ্রামও চালু করেছে গুগল। যেটার কাজ বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড পণ্যের বাগ সম্পর্কে অবগত করা। কার্যক্রমটি শুরুর পর থেকে এ যাবত অ্যান্ড্রয়েড বাগ বিশেষজ্ঞদের ৫৫০ হাজার ডলার পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
এদিকে একই ধারণা নিয়ে কেন এমন পৃথক প্রতিযোগিতা আয়োজনের দরকার ছিল, এমনও প্রশ্ন তুলছে অনেকে।
উত্তরে সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে, গুগল সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের প্রোগামের মাধ্যমে অনেক ব্যতিক্রম, ক্ষমতাসম্পন্ন বাগস খুজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। বড় ধরনের এসব বাগের অস্তিত্ব থাকবে জেনে প্রজেক্ট জিরো কনটেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া বাগ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ, এগুলো কিভাবে কাজ করে তাতে আমাদের প্রবল আগ্রহ। আশা করছি, এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বড় ধরনের বাগ সমস্যার সমাধান করতে পারলে তা ব্যবহারকারীদের উপর কোনো খারাপ প্রভাব ফেলতে পারবেনা।
তাই সমস্ত প্রোগ্রামিং ক্রুটিগুলো এই আয়োজনে হাজির করে শুধু পুরস্কার লুফে নেয়া নয়, বিশ্বকে হ্যাকিং এর অসাধারণ কিছু দক্ষতা প্রদর্শনেরও সুযোগ থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬
এসজেডএম