গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, আইবিএম এবং ফেসবুক এবার একজোট হয়েছে। প্রযুক্তি জায়ান্টদের এই জোট বাধার উদ্দেশ্য আসলে পুরো দুনিয়াকে দখলে নেয়ার জন্য না।
এখনো অনেকে হয়ত জানে না প্রযুক্তি অঙ্গনে এআই কোথায় পৌছেছে। ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট কিন্তু আর্টিফিসিয়েল ইন্টিলিজেন্সের কৌশলে চলে।
যার মানে আজকের দিনে ফেসবুকে বন্ধুদের চেহারা শনাক্ত, ইউটিউবে সুপারিশকৃত সমস্ত ভিডিও’র অস্তিত্ব এছাড়া সিরি ভয়েস অ্যাসিসটেন্টকে কথা বলতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।
তাই প্রযুক্তি জায়ান্টরা এআই’র এমন পারদর্শীতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে গত বুধবার নতুন একটি গ্রুপ গঠনের কথা জানায়।
তাদের এই অলাভজনক প্রাথমিক কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে এআই গবেষণা, দিকনির্দেশনা তৈরি, নতুন এআই প্রযুক্তি তৈরি এবং মানুষকে এআই’র বিষয়ে উন্নত ধারণা দেয়া।
বিশ্বের প্রধান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এইআই নিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে পাশাপাশি অন্য সব প্রযুক্তি কিভাবে বিভিন্ন ডিভাইস এবং সফটওয়্যারের ক্ষমতা বাড়াচ্ছে তা বিবেচনা করে। এরপর এআই প্রযুক্তির তাদের কাছে এতোটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।
শিক্ষা জগত এবং বাণিজ্যিক খাতে এআই এর অনেক অবদান রয়েছে, সেইধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া এটি মানুষের মধ্যে ভীতি কমাতে সাহায্য করবে, কারণ রোবট নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
গ্রীষ্মের শুরুর দিকে টাইম ইটিসি‘র গবেষণায় দেখা গেছে ২৬ শতাংশ গ্রাহক রোবটকে বিশ্বাস করেনা। আবার ব্যক্তিগত বা পেশাগত কাজে এআই-ভিত্তিক যন্ত্রকেও। একই গবেষণায় ৫২ শতাংশ মানুষের কোনোটার উপরই আস্থা ছিলনা। এমনকি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত সিরি এবং একই রকম ফিচারগুলোতেও।
যে সমস্ত বিষয়গুলো চিন্তা করে এআই প্রযুক্তিকে আরো বুদ্ধিমান এবং কার্যকর করতে অনেক পথ হাটতে হবে। তাই ঘোর প্রতিদ্বন্দী তারপরও একত্রিত হয়েছে জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬
এসজেডএম