গাছের ফলটি পেকেছে কিনা, এতোদিন এই সিদ্ধান্ত মানুষ অভিজ্ঞতার আলোকেই নিত। কিন্তু এবার হয়ত সেই সময় পাল্টাচ্ছে।
সেই যন্ত্রটিই জানাবে, গাছের ফলটি পেকেছে কিনা অথবা পাকতে আর কতদিন লাগতে পারে।
পাকা ফল চিনতে এমনই একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে এমআইটি’র একদল গবেষক। এই যন্ত্রকে তারা স্পেকটোমিটার বলছেন।
কাজের ধরণ সম্পর্কে জানানো হয়, ফলের গায়ে এটি আল্ট্রাভায়োলেট রে বা অতি বেগুনী রশ্মী নিক্ষেপ করে। সেই রশ্মী ফলের গায়ে পড়ে তা আবার যন্ত্রের দিকে ফিরে আসে। যন্ত্র তখন সেই তথ্য ব্লুটুথের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে প্রেরণ করে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি তখন তার তথ্য ভান্ডারে থাকা পূর্বের তথ্যের সাথে তুলনা করে এবং ফলের উপরিভাগের ক্লোরোফিলের উজ্জ্বল্য বিশ্লেষণ ফলটির বর্তমান অবস্থা তাৎক্ষনিক জানিয়ে দেয়।
ফলে ব্যবহারকারী সহজেই নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন ফলটি পেকেছে কিনা সে সম্পর্কে।
গবেষকদের আশা, যন্ত্রটি কৃষকদের খুব কাজে লাগবে। বিশেষকরে যারা ফলের আবাদ করেন তারা। এই যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে গাছ থেকে ফল পাড়া এবং বিক্রির জন্য সঠিক সময়ে তা দুরদুরান্তে পাঠাতে পাঠানো সম্ভব হবে একদম ঠিক সময়ে। এতে করে ভোক্তারাও পাবেন গাছ পাকা ফলের স্বাদ।
আর আমরা যারা বাংলাদেশে বাস করি তাদের জন্য তো এই যন্ত্র আশীর্বাদ বলা চলে।
কারণ এই যন্ত্রটি শুধু যে গাছ পাকা ফল সনাক্ত করে তাই নয়, একই সাথে এটি ফলে দেয়া কার্বাইডও সনাক্ত করতে পারে। কার্বাইড সাধারণত কৃত্রিমভাবে ফল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়, যা মানবদেহের জন্য খুব ক্ষতিকারক।
তাই এই যন্ত্র যদি আপনার হাতে থাকে আপনি নিশ্চিত ভাবেই ভেজাল ফলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম