তাইও। ১১ বছরের এক বালক।
সত্যিই তাই! ফেসবুকের এই প্রতিষ্ঠাতা তাইওর কথা লিখেছেন তার নিজের পেজে। সেখানে একটি ছবিও দিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে ভীষণ আগ্রহ নিয়ে তিনি দেখছেন তাইও’র তৈরি ভিডিও গেমটি। আর সাথে সাথে তিনি হয়ে গেছেন নস্টালজিক।
জুকারবার্গ তার পোস্টে লিখেছেন ঠিক তাইওর মতো বয়সেই আমি প্রথম কম্পিউটার হাতে পাই। আর ওর মতোই শুরু করে দেই গেমস তৈরির কোডিং। সব সময়ই ভাবতাম সহজ সহজ গেম বানানোর মধ্য দিয়েই এক সময় জটিল সব অ্যাপস তৈরির পথ মিলবে।
আমার প্রথম গেমটি তাইও’রটির চেয়ে সহজ ছিলো। তবে সেটি নয়, সবচেয়ে বড় কথা হলো, নিজের তৈরি একটি গেম নিজেই খেলার চেয়ে আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না।
পোস্টে আরও একটি তথ্য দিয়েছেন জুকারবার্ক। জানিয়েছেন তাইওর স্পাইক রাশ এরই মধ্যে অাইওএস-অ্যাপ স্টোরে জায়গা করে নিয়েছে। আর বলেছেন, সামনের দিকে তাকিয়ে আছি, দেখি তাইও এর পরে কি বানায়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর জুকারবার্গ এই পোস্ট দেওয়ার পর তাইও’র জন্য শুরু হয় শুভেচ্ছার ঝড়। এ পর্যন্ত ৯১ হাজার মন্তব্য পড়েছে এই পোস্টে। আর শেয়ার হয়েছে ১৭ হাজার ৩৩২ বার।
সেই সঙ্গে ধন্যবাদ ও ভালোলাগার প্রকাশ হয়েছে মার্ক জুকারবার্গের জন্যও।
নতুন প্রতিভাকে উৎসাহ দিতে জুকারবার্গের জুড়ি নেই। জন মরিসন নামে একজন লিখেছেন, তোমার এই পোস্ট তাইওর জন্য অনেক বড় কিছু, সেই হয়তো হতে যাচ্ছে পরবর্তী প্রযুক্তি মানব।
রেহান আল্লাহওয়ালা নামে একজন লিখেছেন, আমাদের এখন শিশুদের যেমন অংক শিখাই তেমন করেই কোডিং শেখানো শুরু করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৬
আরআই/এমএমকে