দুনিয়া জুড়ে পোকেমন গো নিয়ে যতটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল, হঠাৎ করে ততোটাই কমে গেছে। বিশেষকরে নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্যাপক সমালোচিত এই গেমটি অনেক দেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, এমনকি কিছু দেশে এখনও পৌছাতেই পারেনি।
আবার প্রথমদিকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি মোবাইল গেমটি নিয়ে গণমাধ্যম যেভাবে ফলাও করে খবর প্রকাশ করছিল এখন তাও নেই। এর মানেই গেম পাগলদের নেশা ছেুটে গেছে পোকেমন থেকে। তাই বলে ‘পোকেমন গো’ গেম দুনিয়া থেকে একেবারে নিশ্চিহৃ হয়ে গেছে তা নয়।
ভিডিও গেম বিশ্লেষণধর্মী প্রতিষ্ঠান নিউজু তাদের নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এখনও অ্যাপটি থেকে প্রতিদিন প্রচুর টাকা আসছে, যার পরিমান ২ মিলিয়ন ডলার। এই অর্থের পরিমাণ নিশ্চিতভাবে লাভজনক।
কিন্তু গেমটি মুক্তি পাওয়ার প্রথম দিকে সর্বব্যাপী বিরাজমান উন্মাদনার সাথে তুলনা করলে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার দিকটি সুস্পষ্ট। নিউজু আরো জানায়, প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ডলার, এছাড়া আগস্টের প্রথমদিকে সর্বোচ্চ ১৬ মিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়ে এটি।
নিয়ানট্রিকের বিশ্ব মাতানো এই গেমটি নিয়ে হওয়া অনেক রিপোর্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অবমুক্ত হওয়ার প্রথম মাসে ২০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের খবর।
নিউজু’র বিবৃতি অনুযায়ী, এটি প্রথম সবচেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডাউনলোড এবং সর্বমোট ৪৭০ মিলিয়ন ডলার আয় করা গেম।
অবশ্য, উত্তেজনা ম্লানের সাথে সাথে প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে এবং গেমটিতে সময়ও তুলনামূলক অনেক কম দিচ্ছে গেমাররা।
আগ্রহ কমে যাওয়া সত্বেও প্রতিদিন ২ মিলিয়ন টাকা আয় সম্পর্কে নিউজু দৃঢ়ভাবে বলছে, অ্যাপ স্টোরে ৩০% শতাংশ যে ফি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে তা বাদেই পোকেমন লাভজনক অবস্থানে রয়েছে। আগে যেখানে ২৭ মিলিয়ন ডাউনলোড হতো, বর্তমানে প্রতিদিন ৭ লাখ ডাউনেলোড হচ্ছে।
এশিয়ার সবেচেয়ে লাভজনক দুই বাজার চীন এবং সাউথ কোরিয়ায় উন্মুক্ত না হওয়ার পরও পোকেমন থেকে এতো আয় ও ডাউনলোড। তাই এই দুই বাজারে পোকেমন প্রবেশ করতে পারলে ডাউনলোড এবং রেভিনিউ নি:সন্দেহে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস বয়সী এই গেমটির খেলোয়াড়দের মধ্যে ৪৩ শতাংশ গেমার নারী, যা শীর্ষ ১’শর মধ্যে থাকা বিভিন্ন মোবাইল গেমের সাথে তুলনা করলে ১০ ভাগ বেশী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৬
এসজেডএম