যুক্তরাজ্যের কেবিনেট মিটিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অ্যাপেল ওয়াচ। রাশিয়ান হ্যাকাররা অ্যাপলের এই পরিধেয় পণ্যটি হ্যাক করে কেবিনেট মিটিংয়ের কথা-বার্তা শুনতে পারে এমন আশংকায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বৈঠকে এটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তাও টেলিগ্রাফকে জানায়, রাশিয়ানরা তাদের সকল প্রকার যন্ত্র ক্রমাগত হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
অবশ্য, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন কিছু নয়।
গত কয় বছর ধরেই যুক্তরাজ্য সরকার এবং দেশটির মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের সরকার, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানে ক্রমাগত হ্যাকিং চেষ্টার অভিযোগ করে আসছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক সাইবার আক্রমণের স্বীকার হওয়ায় কয়েকদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে।
তারা এমনও বলেছে, হ্যাকিং এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে পর্যন্ত প্রভাবিত করতে চায় রাশিয়া।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করে বলেছে, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি সহ আরও অনেকের ইমেইল ফাঁসের সাথে রাশিয়ার সরকার জড়িত রয়েছে।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদ্রিমির পুতিনের একজন মুখপাত্র সব অভিযোগ নাকচ করে পুরো বিষয়টিকে রাবিশ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে অ্যাপেল ওয়াচ এখন পর্যন্ত হ্যাক না হলেও অ্যাপেলের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম আইওএস কয়েকবার হ্যাক হয়। সে কারণে পূর্বেই আইফোনসহ সব মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয় কেবিনেট মিটিংয়ে।
তাই হ্যাকাররা আইওএস এর মাধ্যমে অ্যাপেল ওয়াচকে লক্ষ্যে পরিণত করতে পারে, ভেবেই এবার নিষিদ্ধ করা হলো ওয়াচকে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম