রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আসিসিবি) ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের আইটি এক্সপো ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৬’।
তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্তর্নিহিত জ্ঞান এবং এ খাতের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইটি এক্সপো এটি।
বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা মাইক্রোসফট বাংলাদেশের অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
আয়োজনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি সেমিনারে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মাইক্রোসফটের ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহন করবেন।
এছাড়া এসব সেমিনারে উপস্থাপিত বিষয়গুলো বাংলাদেশে কিভাবে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যায় তার দিক নির্দেশনা দেবেন তারা।
মূল প্রবন্ধ বিষয়ক ‘এডুকেশন ফর এভরি সিটিজেন-বিল্ডিং এ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ফর এডুকেশন অ্যান্ড লার্নিং’ সহ সেমিনারের অন্যান্য বিষয়গুলো ‘বিজনেস মডেল ফর হাই-টেক জোন’, ‘স্মার্ট সিটিজ: হোয়াট ইজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ফর বাংলাদেশ’, ‘ইনক্লুসিভ থ্রু টেকনোলজিস’, ‘ইম্প্রুভিং বিজনেস অ্যাফিশিয়েন্সি থ্রু আইসিটি’ এবং ‘রোড টু ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এক্সপোর্ট বাই ২০২১’।
মাইক্রোসফট এশিয়া প্যাসিফিকের সাউথ এশিয়া নিউ মার্কেটস বিভাগের চিফ অপারেটিং অফিসার রীনা চ্যাই, অ্যাপাক-এর ডিরেক্টর সেলস লুকাস লু, অ্যাপাক-এর শ্রীকান্ত কাদম্বি, সাউথইস্ট এশিয়া স্পেশালিস্ট সেলস ডিরেক্টর সঞ্জয় পাটেল, অ্যাপাক-এর ডিরেক্টর ডাটা ইনসাইটস এবং অ্যাজিউর অ্যানালিটিক্স ও ডাটা প্ল্যাটফর্মের সেলস ডিরেক্টর অরিজিৎ রায় সেমিনাগুলোতে বক্তব্য রাখবেন।
আয়োজনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে দ্রুতগতিতে যা সত্যিই লক্ষ্যণীয়।
এ গতিকে আরো ত্বরানিত করতে দেশের তরুণদের অংশগ্রহন উল্লেখযোগ্য।
সম্ভবনাময় এ খাতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ থাকায় মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বের বড় বড় আইটি কোম্পানি বাংলাদেশ আইটি বাজার নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বাজারকে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাইক্রোসফট অ্যাসোসিয়েশন এবারের ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’র স্পন্সর হিসেবে থাকছে।
এছাড়া আমাদের বিশেষজ্ঞ দলের অংশ গ্রহণের মূল লক্ষ্য তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহয়তা করা।
মূলত দেশি, বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরিতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড। এতে করে অংশগ্রহণকারীরা যার যার সাফল্য, প্রযুক্ত খাতে ভূমিকা এবং অভিজ্ঞতা একে অপরের সঙ্গে আদান প্রদানের সুযোগ পান।
এবারের আয়োজনে থাকছে “ই-গভর্নেন্স এক্সপো, সফটওয়্যার শোকেসিং, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো/ গেমিং এক্সপো এবং ই-কমার্স এক্সপো”।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এসজেডএম