প্রায় ৫০০ জনের একটি দলকে নিয়ে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে ফিটনেস ট্র্যাকার আসলে ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেনা।
বরং যারা ফিটনেস ট্র্যাকার ব্যবহার করেন না তাদেরই ওজন কমে বেশি।
ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ এর গবেষকরা পরিধেয় পণ্য ব্যবহার করছে, এমন অতিরিক্ত ওজনের মানুষকে নিয়ে গবেষণাটি চালান।
প্রকাশিত সেই সমীক্ষায় বলা হয় , প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ওজন কমানোর জন্য ফিটনেস ট্র্যাকার্স ব্যবহার করেও তেমন কার্যকর সুবিধা পাচ্ছেন না।
প্রায় ৫০০ জন অতিরিক্ত ওজনের মানুষ যারা শারীরিক ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ এবং ফলাফল পেতে রিস্ট ব্যান্ড সহ এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেছে।
ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ এর কাউন্সেলিং পর্বে ফিটনেস ট্র্যাকার্সের কার্যকারিতা নিয়ে প্রথম পদক্ষেপে একদল প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণদের কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার দেয়া হয় এবং পর্যাপ্ত ব্যায়াম করতেও বলা হয়। এছাড়া গবেষণার ছয় মাস অর্ধ-সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকদের কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য ফিটনেস ট্রেকার্স দেয়া হয়।
দুই বছর পর দেখা যায় ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের গড়ে ৩.৫ কেজি আর যারা ব্যবহার করেনি তাদের ওজন কমেছে গড়ে ৫.৯ কেজি।
গবেষকরা এই ফলাফলে বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালযয়ের জন জ্যাককি বলেন, আমরা যখন কাজটি শুরু করি, ধরেই নিয়েছিলাম যে আমাদের অনুসন্ধানের ফল হিসেবে বিপরীতটা দেখতে পাবো।
এছাড়া ভেবেছিলাম, একটি ভাল প্রোগ্রামের জন্য যদি এই প্রযুক্তি যোগ করি, তাহলে এটা আরও ভাল করবে।
জ্যাককি বলেন, এর কারণ হতে পারে কেউ শুধুমাত্র রিস্টব্যান্ড এর তথ্যের উপরে মনোযোগ দিয়েছে , কেউ আবার কম মনোযোগী আবার কেউ অন্য সমস্ত বিষয়ে যেমন সুষম খাদ্য যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
এমনকি তারা এমনটাও ভাবতে পারে যে, হ্যাঁ আমি আজ সত্যিই খুব সক্রিয়। তাই আরো খাবার খেতে পারি।
জনপ্রিয় ফিটনেস ডিভাইসগুলোর একটি ফিটবিট, এর নির্মাতা বলেন আমাদের বিশ্বাস ফিটবিট প্লাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীরা ইতবিাচক ফলাফল পেয়েছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, গবেষকরা ফিটবিট সহ একই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করছে তাদের ক্লিনিক্যাল গবেষণায়।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা এখনও ফলাফল অনুধাবনের চেষ্টা করছেন। তবে তত্ত্ব অনুযায়ী যারা ট্যাকার্সের উপর খুব বেশী নির্ভর করবে, মনোবল কমে গেছে বলে মনে হবে এমনকি এর কার্যকলাপে সন্তুষ্ট থাকবে সেই বিষয়গুলো যাচাইয়ের পর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমএএ/এসজেডএম