ঢাকা: দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে, আর সেই সুফল দেশের ষোল কোটি মানুষ ভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে এ দেশের মানুষের ভূমিকা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মেধা আছে, আমরা নিজেরাই করবো’
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের হলরুমে তাকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠনে তিনি এ কথা বলেন।
‘আইসিটি ফর ডেভেলমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রাপ্তির জন্য সজীব ওয়াজেদ জয়কে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
কারো সহযোগিতা নয়, নিজেদের পরিকল্পনা, দক্ষতা ও নিজেদের অর্থায়নে অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ।
তিনি বলেন, আমার মতে- বিশ্বে আর কোনো দেশ নেই, এতো অল্প সময়ে নিজেদের মেধা ও অর্থ ব্যবহার করে ডিজিটালাইজেশন করেছে। এখন জাতিসংঘ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে উদাহারণ হিসেবে ধরেছে। এতো অল্প সময়ে কীভাবে আমরা সাফল্য অর্জন করলাম, অন্যান্য দেশে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছে।
আইসিটি খাতে তার পুরস্কার অর্জন শুধু নিজস্ব স্বীকৃতি নয়, এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের মানুষের এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির কল্পনা যখন করছি, তখন এদেশে ‘ডিজাটাল’ শব্দটা কেউ শোনেনি। সবাই বলতো- দেশের কৃষকরা কম্পিউটার কিনবে না। আমি বলেছি কিনতে হবে না, আমি পৌঁছায় দেবো। এটা আমরা পেরেছি। সবাই বলতো দেশে বিদ্যুতের অভাব, ব্রিজের অভাব ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে অনেক টাকা লাগবে। এরপরও আমরা নিজেদের টাকায় এটা করতে পেরেছি। আজকে গর্ব করে বলতে পারি, নিজেদের মেধা, শ্রম ও অর্থ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পেরেছি। ’
আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন অসম্ভব ছিলো। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, উন্নত করেছে এবং দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে অসামন্য অবদান, প্রতিযোগিতামূলক টেকসই উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে আইসিটিকে বেঁচে নেওয়ায় ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে।
ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অব গর্ভানেন্স অ্যান্ড কম্পিটেটিভনেস, প্ল্যান ট্রিফিনিও, গ্লোবাল ফ্যাশন ফর ডেভেলপমেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট প্রদেশের নিউ হেভেন বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব বিজনেস সম্মলিতভাবে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬/আপডেট: ২০৩৮, ২১৫৫ ঘণ্টা
এমসি/টিআই