ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বসুন্ধরার ডিজিটাল মেলায় ‘টেক প্রেমী’দের ভিড়

রহমান মাসুদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
বসুন্ধরার ডিজিটাল মেলায় ‘টেক প্রেমী’দের ভিড় ছবি: দীপু- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ডিজিটাল মেলায় ‘টেক প্রেমী’ তারুণ্যের জোয়ার।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা’ থেকে বের হওয়ার পরই ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৬’ সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।

মাথার ওপরের গনগনে সূর্য আর ভ্যাপসা গরমকে উপক্ষো করে দুপুর থেকেই ‘টেক প্রেমী’ হাজার হাজার তরুণ-তরূণী ও নানা বয়সী শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে।

***আরও পড়ুন: গুগল স্টল গন্তব্য ক্ষুদে প্রোগ্রামারদের
 
কেবল নতুন প্রজন্মের এই প্রযুক্তি প্রেমীরাই নন, ডিজিটাল মেলা মিলিয়েছে সব বয়সীদের তথ্য প্রযুক্তিতে উৎসাহীদেরই। কেবল স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়াই নয়, তারা অংশ নিচ্ছেন প্রযুক্তি বিষয়ক নানা সেমিনারে। শুনছেন ভবিষ্যতের বিশ্ব সম্পর্কে। তবে সেখানে তারুণ্যেরই উপস্থিতি বেশি। অনেকেই বলছেন, এদের হাতেই আগামীর দেশ। এরাই গড়বে প্রকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ।
 
ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান ডিজিটাল মেলায় এসেছেন রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে। তিনি যে ব্যাংকে কর্মরত সেই জনতা ব্যাংকের একটি স্টল আছে মেলা প্রঙ্গণের চার নম্বর হলরুমে। তিনি বলছিলেন, আমরা মেলায় আসা দর্শনার্থীদের দেখাচ্ছি ‘ডিজিটাইলেজশনের’ দৌড়ে কতটা এগিয়েছি আমরা। দর্শনার্থীরাও তা আগ্রহ সহকারে দেখছেন। কিন্তু সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো, যারা আমাদের ভবিষ্যৎ গ্রাহক; সেইসব স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। নানা ধরনের প্রশ্নবানে বিদ্ধ করছেন আমাদের। এটি আমাদের উৎসাহিত করছে। কারণ তাদের প্রশ্নগুলো আমাদের যৌক্তিক মনে হচ্ছে। এইসব ভবিষ্যৎ গ্রাহকদের মন জয় করতে আমাদের আরও পথ হাঁটতে হবে।

সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র মাহফুজুর রহমান তমাল ডিজিটাল মেলায় এসেছেন বন্ধু রিগ্যান, তারেক আর নীরবকে সঙ্গে নিয়ে। মেলা নিয়ে তার আগ্রহ ব্যাপক। বাংলানিউজকে তিনি বলছিলেন, নতুন ধরনের একটি রোবট বানানোর চিন্তা নিয়ে এসেছি এই মেলায়। আমরা কিছু সফটওয়্যারও খুঁজছি। একই সঙ্গে ইনভেনশনারি ‘ওয়ার্ক’ দেখারও ইচ্ছে আছে।
 
তিনি বলছিলেন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখনও ম্যানুয়াল পদ্বতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। এমনকি দিনের বেলায় যখন রাস্তায় মানুষ থাকে তখনও এটি করা হয়। আমরা এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি যা একই সঙ্গে রোবট, ড্রোন ও স্বয়ংক্রিয় গাড়ির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এতে ড্রোন সড়কে থাকা ময়লা শনাক্ত করে কন্ট্রোল রুমে সংকেত পাঠাতে থাকবে।
 
ম্যাপললিপ স্কুলের শিক্ষার্থী শামরিন সুলতানা পাখি বলছিলেন, বিভিন্ন অ্যাপস নিয়ে আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে মেতে থাকি। আমরা সময় উপযোগী অ্যাপস নিয়ে চিন্তা করি। ভাবি, কোন ধরনের অ্যাপস তৈরি হলে জনগণের ভোগান্তি কমে। কোন অ্যাপসে পাল্টে যেতে পারে সমাজের চিত্র। আর এইসব ভাবি বলেই দল বেঁধে এখানে এসেছি। দেখতে এসেছি আমাদের চিন্তা কতটুকু সময়কে ধারণ করছে। নতুন নতুন অ্যাপস দেখে আমরা আমাদের আরও শনিত করতে চাই। ভাবতে চাই আগামীর জন্য নতুন কিছু করার।
 
সন্ধান ডট কম’র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার রুমেল বলছিলেন, আমরা ভাবতে পারিনি এই দুপুরে এতো দর্শনার্থী মেলায় আসবেন। সবচেয়ে বড় কথা, যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। তারুণ্যের এই আগ্রহ ও
উৎসুক প্রশ্ন অনেক সময় আমাদেরকে চমকে দিচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৬
আরএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।