ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ই-কমার্স বাণিজ্য প্রসারে প্রয়োজন আইন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
ই-কমার্স বাণিজ্য প্রসারে প্রয়োজন আইন ছবি: রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ই-কমার্স বাণিজ্য প্রসারে প্রয়োজন একটি আইন, যে আইন দ্বারা ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালিত হবে।

 

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ৠাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ই-কমার্স পলিসি কনফারেন্সে তিনি একথা বলেন।

 

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স বাণিজ্য পরিচালনায় একটি আইন প্রয়োজন। কেননা সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজন আছে। আর যে নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হবে ই-কমার্স বাণিজ্য। আর যদি কোনো আইন না থাকে তাহলে সেটার গুরুত্ব দিন দিন হারিয়ে যেতে থাকে। এজন্য ই-কমার্সের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি সেটা অবাস্তব নয় বরং বাস্তব। কেননা দিন দিন বাংলাদেশ নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। আর এর ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ই-কমার্সকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই বলাই যায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ই-কমার্স ব্যবসারও ভূমিকা অনেক। বর্তমান বিশ্বে পাঁচটি বিষয় সবচেয়ে বেশি আলোচিত। আর এগুলো হলো- দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, আইসিটি, টেকসই উন্নয়ন ও জঙ্গিবাদ। ফলে যেকোনো দেশের উন্নয়ন করতে হলে এই পাঁচটি বিষয় এখন সবার আগে চলে আসে। তাই আমরাও চাই, একটি উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে স্বীকৃতি অর্জন করতে।

গণমাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির খবর নেই উল্লেখ করে হক ইনু বলেন, এখন প্রতিদিনের সংবাদ পর্যবেক্ষণ করলে প্রতিদিন তথ্য প্রযুক্তির সংবাদ পাওয়া যায় না। কিন্তু এটা থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটি দেশের কোথায় কোন তথ্য প্রযুক্তির উদ্ধব ঘটছে সেটা কিন্তু আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য গণমাধ্যমের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা অবশ্যই এখন থেকে প্রতিদিনের সংবাদে তথ্য প্রযুক্তির একটি করে হলেও সংবাদ রাখবেন।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার সম্পূর্ণ প্রসারণ ঘটলে দেশের অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির আরও উন্নয়ন হবে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, বিদেশি কোম্পানির সফটওয়্যারগুলো যেমন এখন দেশের বাজার দখল করে আছে; তেমনিভাবে দেশের সফটওয়্যারগুলোও যেনো বাজারে সাফল্য অর্জন করতে পারে। এছাড়া বিদেশি সফটওয়্যারে কী আছে আর আমাদের সফটওয়্যারগুলোতে কী নেই, সেটাও অনসন্ধান করতে হবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিডিজবসের সিইও ফাহিম মাশরুর, বেসিসের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এসজে/জিপি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।