ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো পোস্ট বা ছবি যদি অসঙ্গতিপূর্ণ হয় বা নীতিমালা ভঙ্গ করে তাহলে সেটি নজরে আসার পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
ঠিক এমনটাই করতে গিয়ে গত একমাস আগে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এর্না সোলবার্গের পোস্ট করা একটি ছবি ডিলেট করে দেয় সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম এ মাধ্যমটি।
আর তার পরেই বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রব উঠে। সোচ্চার হয় ৭০টিরও বেশি অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন।
এর্না সোলবার্গের পোস্ট করা যে ছবিটি সরিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের মুখে পড়ে ফেসবুক, সেটি ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঐতিহাসিক একটি ছবি। ওই ছবিতে যুদ্ধের দামামা থেকে রক্ষা পেতে নগ্ন অবস্থায় অশ্রু সজল নয়নে রাস্তা দিয়ে দৌড়ে যাওয়া একটি বালিকার মাধ্যমে যুদ্ধের ভয়াবহতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
একইসাথে এটি ঐতিহাসিক একটি ছবি হিসেবে অনেক আগে থেকেই বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। সেই ছবিকে নীতিমালা ভঙের আখ্যা দিয়ে ফেসবুক থেকে সরিয়ে ফেলাটা তাই মানতে পারেনি কেউই।
তাই বাধ্য হয়ে এখন ফেসবুকের একজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জানিয়েছেন, নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হলেও এখন থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ কনটেন্টকে অনুমোদন করবে তারা।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা বিষয়ক মিডিয়া পার্টনারশিপের পরিচালক প্যার্টিক ওর্য়াকার বলেছেন, ভিয়েতনাম ছবি বিতর্কের পর আমরা আমাদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন এনেছি। তাই এখন থেকে সংবাদ ভ্যালু আছে এবং মানুষের আগ্রহ আছে এমন গুরুত্বপূর্ণ ছবি ও পোস্ট অনুমোদন করবে ফেসবুক।
এদিকে অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন ৭০টি সংগঠন বলেছে, ছবি ও পোস্ট বিষয়ে ফেসবুক তার নীতিমালায় কি পরিবর্তন এনেছে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম