আন-ম্যানড এরিয়েল ভেহিকল বা ইউএভি-কে আমরা সংক্ষেপে ‘ড্রোন’ বলি। গত এক দশকে দূর-নিয়ন্ত্রিত এই মনুষ্যহীন, উড়ন্ত বস্তুটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল- এটি বেশ সফলভাবেই ব্যবহার করে আসছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই ড্রোন-অস্ত্র ব্যবহার করতে গিয়ে হাজার হাজার নিরীহ নরনারীর জীবন কেড়ে নিয়েছে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী। এখন সব দেশই ড্রোনাস্ত্র তৈরি করছে। ড্রোন নামের এসব ক্ষুদ্র অস্ত্রের বিরুদ্ধে এয়ার ডিফেন্সও তেমন কার্যকর নয়। তাছাড়া এসব ছোট ছোট অস্ত্রকে ঘায়েল করার জন্য এয়ার ডিফেন্স মিসাইল ছোড়াটাও ‘মশা মারতে কামান দাগা’র মতো হাস্যকর ব্যাপার।
তাছাড়া শত্রু যদি একই সঙ্গে কোনো দেশের আকাশ সীমায় ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়ে সামরিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, তখন এগুলোকে মোকাবেলা করার উপায় কি?
সমস্যা থাকলে সমাধান হয়, আর ইচ্ছে থাকলে উপায়। শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়া এবার প্রায় বিনা খরচে শত্রুর ড্রোনাস্ত্র ধ্বংস করার উপযোগী মোক্ষম এক অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে। একটাও গুলি বা মিসাইল না ছুড়েই এ অস্ত্রটির মাধ্যমে আকাশসীমায় ঢুকে পড়া শত্রুর সব ড্রোন ধ্বংস বা বিকল করে দেওয়া যাবে। ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন পাঠিয়েও শত্রুপক্ষ কোনো সুবিধা করতে পারবে না।
নতুন এই ড্রোনঘাতী অস্ত্রটিতে এমন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যা ব্যবহার করলে শত্রুর ড্রোনের ‘রেডিও-ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা’টি বিকল বা নষ্ট হয়ে যাবে। হানাদার ড্রোনটি তখন "useless piece of dead iron and plastic."—এ পর্যবসিত হবে। একাজটি করতে একটি কানাকড়িও ব্যয় হবে না।
রাশিয়ার United Instrument Manufacturing Corporation (UIMC) এই অভিনব অস্ত্রটি তৈরি করেছে।
এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া তারা প্রতিরক্ষা শক্তিকে আরও অনেক কদম এগিয়ে নিয়ে গেলো।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৬
জেএম/এএ