ঢাকা: টেলিনর গ্রুপের প্রথম আঞ্চলিক স্টার্টআপ সম্মেলন ডিজিটাল উইনারস এশিয়া’র বিজয়ী হয়েছে থাইল্যান্ডের স্টার্টআপ টেক মি ট্যুর।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় সাতটি স্টার্টআপকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হয় থাইল্যান্ডের স্টার্টআপটি।
বিজয়ী দল নিজেদের দেশে ফিরে গিয়ে প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করার জন্য নরওয়েজিয়ান মুদ্রায় ১ লাখ ক্রোনার পাবে। পাশাপাশি তারা প্রতিবেশী দেশে ব্যবসা বিস্তৃতির জন্য নেটওয়ার্ক, জ্ঞান ও সম্পদগত সহায়তা পাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে এশিয়ার প্রথম স্টার্টআপ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের বাজ অ্যালি ও সোশিয়ান, মালয়েশিয়ার ভেস, মায়ানমারের মিয়ানজেন, পাকিস্তানের ইকো এনার্জি, এড জাংশন, ফরি মাজদুরি, থাইল্যান্ডের স্কুটার ও টেক মি ট্যুর এতে অংশ নেয়। টেক মি ট্যুর হলো থাইল্যান্ডে একদিনের ভ্রমণে সহায়তা পেতে সবচেয়ে বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (www.takemetour.com)।
গ্রামীণফোন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, টেলিনর গ্রুপের অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচি ও বাজারের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ এবং দু’দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এশিয়ার মেধাবী ও শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে একমঞ্চে নিয়ে আসতে ডিজিটাল উইনারস এশিয়া অনুষ্ঠিত হয়।
টেলিনর গ্রুপের নিউ ভেঞ্চারের ডিরেক্টর জোহান্না স্টাফ বলেন, ‘পুরো এশিয়া থেকে সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলোকে আমাদের প্রথম ডিজিটাল উইনারস এশিয়া সম্মেলনে নিয়ে আসা শুধুমাত্র অনুপ্রেরণাদায়কই নয় পাশাপাশি এ অঞ্চল থেকে অসামান্য প্রতিভা উঠে আসারই ইঙ্গিত। মনোনীত প্রতিটি দলই অত্যন্ত শক্তিশালী ও ডায়নামিক’।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় পরিসরে উদ্ভাবনী নানা বিভাগে বৈচিত্র্যময় এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজনে স্বাগতিক দেশ হিসেবে মায়ানমারের সামর্থ্য আসলে প্রযুক্তিখাত সম্প্রসারণে দেশটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত। এটা আসলেই অনেক বড় সম্মান’।
থাইল্যান্ডে একদিনে ভ্রমণের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে বিজয়ী দল টেক মি ট্যুরের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা জিন্দা আপিরাকসা আমোরনচেদ এবং স্টার্টআপটির চিফ অপারেশন অফিসার ও আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা নোপ্পোন আনুকুনউইথায়া ব্যাংককভিত্তিক স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠা করেন। নিজেদের দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে তারা তাদের এ অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করবেন এবং টেলিনর গ্রুপের আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে মায়ানমারের বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
জিন্দা আপিরাকসা আমোরনচেদ বলেন, ‘আমাদের মতো স্টার্টআপগুলোর জন্য ডিজিটাল উইনারস এশিয়া সম্মেলন হচ্ছে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার প্ল্যাটফর্ম। আমরা ডিটাক অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচি দিয়ে শুরু করেছি। আর এ মুহূর্তে আমরা অন্যান্য বাজারে প্রবেশের মতো সামর্থ্য অর্জন করেছি’।
এশিয়াজুড়ে টেলিনরের পাঁচটি স্টার্টআপ ইনকিউবেশন ও অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচির বর্তমান ও আগের অংশগ্রহণকারী আটটি দল ডিজিটাল উইনারস এশিয়াতে অংশ নেয়। ব্যবসায়িক সম্ভাবনা, বাজারে টিকে থাকা এবং টেলিনরের সঙ্গে প্রবৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে।
অংশ নেওয়া স্টার্টআপগুলো সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বহুমুখী খাত যেমন: বিপণন সেবা, বিদ্যুৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভ্রমণ ও শিক্ষাখাত নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করে।
নর্ডিক অঞ্চলে মিডিয়া, প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ খাতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল উইনারস প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু হয়।
এশিয়াতে টেলিনরের গ্রাহকদের জন্য ব্যয়ভার, এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বৃদ্ধি ও ডিজিটাল উইনারসদের দক্ষতা ও সম্মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের জন্য অভিনব সুযোগ হিসেবে এ প্ল্যাটফর্মকে প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে।
বৈশ্বিক এ কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে (planet.telenor.com) লগইন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি