দূর্ভাগ্য আর দুঃসপ্ন যেন কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না কোরীয় ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের। একদিকে বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাদের এখন জেরবার অবস্থা।
গ্যালাক্সি নোট ৭ নিয়ে যখন তারা দুঃস্বপ্নের রাত পার করছে, ঠিক সেই সময় মরার উপর খাড়ার ঘাঁর মতো এসে হাজির হলো নতুন ঝামেলা ওয়াশিং মেশিন।
গত শুক্রবার স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনজ্যুমার প্রোডাক্ট সেফটি কমিশন যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২.৮ মিলিয়ন ওয়াশিং মেশিন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
পুরো দেশ থেকে ওয়াশিং মেশিন সম্পর্কে কমপক্ষে ৭০০টি অভিযোগ জমা পড়ার পর প্রতিষ্ঠানদ্বয় এই সিদ্ধান্ত নিল।
প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, স্যামসাং ওয়াশিং মেশিনগুলো চালানো হলে সেটি অত্যাধিক ঝাঁকুনির সৃষ্টি করে। এর ফলে মেশিনের উপরের অংশ খুলে গিয়ে মানুষের আহত হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
স্যামসাং অন্ততপক্ষে এমন নয়টি অভিযোগ পেয়েছে, যেগুলোতে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন তাদের ওয়াশিং মেশিনের উপরের অংশ খুলে যেয়ে তারা চোয়াল, বাহুসহ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত পেয়েছেন।
গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রিত স্যামসাংয়ের এসব ত্রুটিপূর্ণ ওয়াশিং মেশিনগুলো তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন এবং থাইল্যান্ডে। ৪৫০ থেকে এক হাজার পাঁচশ ডলার দামের এই মেশিনগুলোর বিক্রি শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের মার্চ থেকে।
তবে স্যামসাংয়ের ওয়াশিং মেশিন নিয়ে এমন কাণ্ড কিন্তু এই প্রথম নয়। এর আগে এক বছর আগে অষ্ট্রেলিয়াতে চলন্ত অবস্থায় মেশিনটিতে আগুন ধরে যাওয়ার অভিযোগে ১ লাখ ৪৪ হাজার ওয়াশিং মেশিন প্রত্যাহার করতে হয়েছিল স্যামসাংকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম