ঢাকা: আইন লঙ্ঘন করে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য গ্রামীণফোনকে করা জরিমানার ৩০ কোটি টাকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি রোববার (৬ নভেম্বর) গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর পাঠানো হয়।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামীণফোনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জরিমানার পুরো টাকা পরিশোধ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘন করে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ায় গত ৩০ অক্টোবর গ্রামীণফোনকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করে বিটিআরসি।
‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাকে অবৈধ ঘোষণার কারণ হিসেবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী- কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর সরাসরি তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এ ধরনের ‘লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি’ সেবা দিতে পারে না। লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি হলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সর্বশেষ পর্যায়ের সংযোগ।
কিন্তু গ্রামীণফোন ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবার নামে সোনালী ব্যাংককে সরাসরি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে- এমন অভিযোগ তোলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি’র কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়।
অবৈধ সেবা দেওয়ার কারণ জানতে গত মার্চের শেষ দিকে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় গ্রামীণফোনকে জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়।
গ্রামীণফোনকে দেওয়া জরিমানার চিঠিতে বলা হয়, অপারেটরটি নীতিমালার শর্ত, লাইসেন্সের প্রবিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে অভিযোগ থেকে অব্যহতি পাবে।
বিটিআরসি জানায়, সোনালী ব্যাংকের ৫৫১টি শাখায় অনলাইন নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবা দিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চুক্তি করে অপারেটরটি। ২০১২ সালের জুন মাসে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) অগ্নি ও এডিএনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার অনুমতি পায় গ্রামীণফোন।
জরিমানার বিষয়ে বিটিআরসি বলছে, গ্রামীণফোন ২০১৪ সালে এ অবৈধ সেবা চালু করে। দুই বছরে তারা এ সেবায় আয় করেছে ৩০ কোটি টাকা। অবৈধ এ আয়ের পুরোটাই জরিমানা হিসেবে আদায় করা হবে।
এর আগে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবায় গ্রামীণফোনের সঙ্গে থাকা অগ্নি ও এডিএন প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এমআইএইচ/এটি