ঢাকা: কম্পিউটারে ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’র মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একটি গোষ্ঠী মোবাইল ফোনে কল করছে। পাশাপাশি প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছে অর্থ দাবি ও হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
অন্যের নম্বর ব্যবহার করে আসা ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’ নম্বরে কল করলে সেটি বায়োমেট্রিক ভেরিফায়েড সিম কিনা- তা বোঝা যাবে জানিয়ে স্পুফিং নম্বরে কল করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধনের ফলে আইন-শৃঙ্খলায় প্রভাব নিয়ে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তারানা হালিম।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলভিত্তিক অপরাধ কমলেও ইদানিং নতুন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, গ্রাহকরা বিভ্রান্তিতে ভুগছেন। বায়োমেট্রিকের পর বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি হচ্ছে- ‘স্পুফিং’ বা ‘কল মাস্কিং’। ‘স্পুফিং’ বা ‘মাস্কিং’র সঙ্গে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের কোনো সম্পর্ক নেই, এটি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই। এটি কম্পিউটারে জেনারেট করা হয়।
স্পুফিং কলটি নিশ্চিত হতে গ্রাহকদের সমাধান দেন প্রতিমন্ত্রী।
বলেন, এর সমাধান হচ্ছে, যিনি এ ধরনের কোনো কল পাবেন, সেই নম্বরে কল করে আসলে কলটি স্পুফিং না বায়োমেট্রিক ভেরিফাইড করা সিম থেকে এসেছে, তা জানা যাবে।
‘আমরা অনুরোধ করবো, কোনো চাঁদাবাজি বা টাকা লেনদেন বা টাকা কেটে নেবো, পিন কোড দেন- এ ধরনের কোনো কল পেলে তিনি যদি ওই নম্বরটিতে আবার ফোন করেন তাহলে যিনি অন্যপ্রান্ত থেকে ফোন ধরবেন তিনি বায়োমেট্রিক সিমের মালিক। মাঝের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন যারা ওই নম্বরটি নিয়ে স্পুফিং করেছেন- যেটি কম্পিউটারে জেনারেট করা যায়। ’
‘স্পুফিং’ কল কীভাবে করা যায় তা সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় একটি মোবাইল থেকে একজন সাংবাদিকের নম্বরে কল করা হয়, পরে ওই নম্বরে (স্পুফিং) কল করলে সেটি প্রতিমন্ত্রীর কাছে চলে আসে।
স্পুফিংয়ের সঙ্গে বায়োমেট্রিকের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তারানা হালিম বলেন, স্পুফিংয়ের নতুন এই সমস্যাটিকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা বিটিআরসি’র সঙ্গে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএনএস
** বায়োমেট্রিকের পর অবৈধ ভিওআইপি কমে ১০ শতাংশ