মনুষ্য জীবনকে নিরাপদ, আরামদায়ক আর ঝামেলাহীন করতে প্রকৃতি থেকে যে আমাদের এখনো অনেক কিছু শেখার আছে সেটাই আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন সিঙ্গাপুরের একদল গবেষক।
পাখি, মাছ, পিঁপড়া কিংবা এমিবা এসব প্রাণীরা একটি ঝাঁকে থেকেও কিভাবে স্বাচ্ছন্দ্যে ধাক্কাধাক্কি ছাড়াই চলা ফেরা করে, সেটা নিয়েই গবেষণা করেছেন সিঙ্গাপুরের ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন।
ঝাঁক বেঁধে চলা প্রাণীদের এই বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে গবেষকরা দুর করতে চাচ্ছেন যানজট সমস্যা। আর গবেষণা লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাতে চাচ্ছেন চালক বিহীন গাড়ির জন্য।
ঝাঁক পদ্ধতিটি যদি বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজে লাগানো যায় তাহলে এটি রাস্তার সমস্যাকে অনেকাংশে কমিয়ে দিতে পারবে বলে মনে করেন গবেষকদের একজন সহকারী অধ্যাপক রোনাল্ড বাউফানাইস।
ওই অধ্যাপক আরও মনে করেন, ঝাঁক পদ্ধতিটি যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে চালক বিহীন গাড়িগুলো। এগুলো আরও স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদভাবে রাস্তায় চলতে পারবে। তাই চালক বিহীন গাড়ি রাস্তায় পুরোদমে আসার আগেই পদ্ধতিটি নিয়ে কাজ শেষ করতে চান তারা।
এদিকে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সিঙ্গাপুরের চালকদের গড়ে বছরে ১২৬ ঘন্টা রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকতে হয়। আর এর ফলে দেশটি বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ভাগিস্য সমীক্ষায় বাংলাদেশকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। তাহলে আমাদের দেশের চালকদের কর্মঘন্টা আর বাৎসরিক ক্ষতির হিসেব দেখে নিশ্চয়ই তারা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
এমএডি/এসজেডএম