ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জরিমানা না দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রামীণফোনের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
জরিমানা না দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রামীণফোনের

আইন লঙ্ঘন করে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কারণে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে করা জরিমানার ৩০ কোটি টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করেনি অপারেটরটি। উল্টো নানা ব্যাখ্যা দিয়ে জরিমানা পুর্নবিবেচনা করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে তারা।  

ঢাকা: আইন লঙ্ঘন করে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার কারণে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে করা জরিমানার ৩০ কোটি টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করেনি অপারেটরটি। উল্টো নানা ব্যাখ্যা দিয়ে জরিমানা পুর্নবিবেচনা করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে তারা।

 
 
বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগ থেকে গত ৬ নভেম্বর গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বরাবর জরিমানা শোধের চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। দশ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  
 
চিঠি পাঠানোর ১১তম দিনে বিটিআরসি জানায়, অপারেটরটি জরিমানা পুর্নবিবেচনা করতে অনুরোধ করেছে।  
 
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, নানা ব্যাখ্যা দিয়ে গ্রামীণফোন আজকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে তারা জরিমানার টাকা ‘রিকনসিডার’ করতে বলেছে।  
 
বিটিআরসি’র সচিব সরওয়ার আলম গ্রামীণফোনের চিঠি পাঠানোর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।  
 
টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘন করে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ায় গত ৩০ অক্টোবর গ্রামীণফোনকে ৩০ কোটি টাকা জরিমানা করে বিটিআরসি।  
 
‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাকে অবৈধ ঘোষণার কারণ হিসেবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়, টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর সরাসরি তাদের অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এ ধরনের ‘লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি’ সেবা দিতে পারে না। লাস্ট মাইল কানেকটিভিটি হলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সর্বশেষ পর্যায়ের সংযোগ।
 
কিন্তু গ্রামীণফোন ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবার নামে সোনালী ব্যাংককে সরাসরি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসির কাছে তারা লিখিত অভিযোগ দেয়।  
 
অবৈধ সেবা দেওয়ার কারণ জানতে গত মার্চের শেষদিকে গ্রামীণফোনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় গ্রামীণফোনকে জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়।  
 
অপারেটরটিকে দেওয়া জরিমানার চিঠিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন নীতিমালার শর্ত, লাইসেন্সের প্রবিধান প্রতিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাবে।  
 
বিটিআরসি জানায়, সোনালী ব্যাংকের ৫৫১টি শাখায় অনলাইন নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবা দিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে চুক্তি করে অপারেটরটি। ২০১২ সালের জুন মাসে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) অগ্নি ও এডিএনের সঙ্গে যৌথভাবে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার অনুমতি পায় গ্রামীণফোন।
 
জরিমানার বিষয়ে বিটিআরসি বলছে, গ্রামীণফোন ২০১৪ সালে এ অবৈধ সেবা চালু করে। দুই বছরে তারা এ সেবায় আয় করেছে ৩০ কোটি টাকা। অবৈধ এ আয়ের পুরোটাই জরিমানা করা হয়।  
 
এর আগে ‘গো’ ব্রডব্যান্ড সেবায় গ্রামীণফোনের সঙ্গে থাকা অগ্নি ও এডিএনকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারাও পরিশোধ করেনি।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।