ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটি খাতের সঙ্গে পাঠ্যসূচির সঙ্গতি নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
আইসিটি খাতের সঙ্গে পাঠ্যসূচির সঙ্গতি নেই ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দক্ষ মানবসম্পদই আইসিটি খাতের বড় সংকট। এর কারণ হলো আইসিটি খাতের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচি সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের আরও তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আইসিটি বিভাগ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

‍জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভালো চারা রোপণ করলেই ভালো বৃক্ষ পাওয়া যায়। আর ভালো বৃক্ষ থেকেই ভালো ফল আসে। আইসিটিতে সবচেয়ে বড় সংকট হলো দক্ষ মানবসম্পদের। কেননা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পাঠ্যসূচি রয়েছে প্রায়োগিক দিক থেকে তার সঙ্গে আইসিটিখাতের কোনো মিল নেই। তাই প্র্যাকটিক্যাল দিক বিবেচনা করে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞানের পাশপাশি প্রোগ্রামিংয়েও দক্ষ হতে হবে। আর এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি গ্রামে প্রশিক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক ছয়টি বাস যাচ্ছে। যেখানে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে যে কোনো নাগরিক যে কোনো সহায়তা পেতে পারেন। হেল্প ডেস্ক স্থাপন হয়েছে মাত্র ১০০ দিন হয়েছে। এরই মধ্যে ৯ লাখ মানুষ এখানে ফোন দিয়েছেন। আর সেবা নিয়েছেন ১৯ হাজার মানুষ।

একমাত্র পোশাকখাত থেকে বিলিয়ন ডলার আয় হয়। কিন্তু সত্যিকারের মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে কেবল মাত্র একটি খাতের উপর নির্ভর করলে হবে না। আমাদের তরুণ রয়েছে ১০ কোটি। এর মধ্যে ৪ কোটি ২৬ লাখ রয়েছে শিক্ষার্থী। মাত্র ৬০ লাখ পোশাককর্মী বিলিয়ন ডলার আয় করে। তাই এই শিক্ষার্থীদের দক্ষ প্রযুক্তিকর্মী বানাতে পারলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব, যোগ করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য করা এবং এডুকেশন কাউন্সিল গঠন করার উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া আইসিটি খাতের উন্নয়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভাবা হচ্ছে- একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ৫৭টি ব্যাংকেই কাজ চালানো যায় কি-না। তবে এতো এতো উদ্যোগের পরও ঝুঁকি হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা। আর এ বিষয়েও আইন হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় একটি বেসরকারি ব্যাংকের সহায়তায় মেধাবী শিক্ষার্থী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীর হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৬
ইইউডি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।