ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হবে বাংলালিংক

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭
পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হবে বাংলালিংক ভিম্পেলকমের ডিজিটাল অ্যাডভ‍াইজরি বোর্ডের চেয়ারম্যান দেবু পুরকায়ন্থ-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বাংলালিংক গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সেবা দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে মূল অংশীদারী প্রতিষ্ঠান ভিম্পেলকম।

প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ভিম্পেলকম ডিজিটাল প্রোডাক্টের পাশাপাশি ই-কমার্সের উপর জোর দিচ্ছে।

   

বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলালিংক নিয়ে এ পরিকল্পনার কথা জানান ভিম্পেলকমের ডিজিটাল অ্যাডভ‍াইজরি বোর্ডের চেয়ারম্যান দেবু পুরকায়ন্থ।  

বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে ভিম্পেলকম চেয়ারম্যান বলেন, এই তরুণ প্রজন্ম সর্বদা নিত্য নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করতে চায় এবং চায় তার আকর্ষণীয় মূল্য। বাংলাদেশের এই প্রজস্মের কথা বিবেচনা করে আমরা কিছু পার্থক্য করতে চাই। ডিজিটাল বাংলাদেশে এই তরুণ প্রজন্মই নেতৃত্ব দেবে।

দেবু পুরকায়ন্থ বলেন, শুধু নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি দেখলে হবে না, দক্ষ ও উচ্চমান সম্পন্ন ডিজিটাল কর্মী এবং উন্নত টেকনোলজির জন্য আমরা প্রচুর বিনিয়োগ করছি।

তিনি বলেন, বাংলালিংকে পরিপূর্ণ ডিজিটালে রূপান্তর এবং গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা ডিজিটাল ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক খুঁজছি। ডিজিটালের ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, ডিজিটাল দক্ষ ব্যাকগ্রাইন্ডের কর্মীর পেছনে বিনিয়োগ। ডিজিটালের ক্ষেত্রে আমরা কর্মী সংকোচন নয়, বরং ডিজিটাল-দক্ষ লোক খুঁজছি।

ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের জন্য আমরা এদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং রেগুলেটরের নিয়মের মধ্য থেকে মডেল তৈরি করছি- যোগ করেন দেবু পুরকায়ন্থ।

ভিম্পেলকম ইতালিতে ডিজিটালের ক্ষেত্রে কাজ করছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, ইউরোপীয়ান দেশের পর লক্ষ্য বাংলাদেশ। এজন্য ডিজিটালি একটা টিম কাজ করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেগুলেটরের আইনের মধ্য থেকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। যেখানে অন্যরা এসে নিজেদের বিজনেস কাজে লাগাতে পারবে। কারণ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। তাই শুধু টেলিকম অবকাঠামো নয়, টেলিকম প্রোডাক্টসের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। এগুলোর মধ্যে ই-কমার্স অন্যতম। আমরা এজন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বানাতে চাই, যা হবে ডিজিটাল।

তিনি বলেন, মানুষ কম কথা বলছে, কিন্তু মেসেজিংয়ে গুরুত্ব বাড়ছে। ওই প্ল্যাটফর্মে এ বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এজন্য এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হলো গ্রাহকের সেবা কীভাবে স্ট্যান্ডার্ড করতে পারি এবং সব কিছু ম্যানেজ করে কীভাবে এটা করা যায়।

আর গ্রাহক যেটা চায়, তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মডেল তৈরি করার কথা জানিয়ে ভিম্পেলকম চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাহকরা যেন সহজে ডাটা ব্যবহার করতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা বেশি এবং এই প্রজন্ম সর্বদা নিত্যনতুন টেকনোলজি ব্যবহার করতে চায়। চায় আকর্ষণীয় মূল্য। আমরা যদি এই গ্রাহকের কথা চিন্তা না করি তাহলে হবে না। ’

একবছর আগে বাংলালিংক ডিজিটালে রূপান্তরের পর কর্মী ছাঁটাইয়ের পূনরাবৃত্তি হবে কি- এমন প্রশ্নের জবাবে দেবু বলেন, আমরা এখন উল্টো জিনিসটা করছি। আমরা ডিজিটাল ব্যাকগ্রাউন্ডের লোক খুঁজছি। কোম্পানিকে ইনোভেটিভ ও এক্সাইটিং করার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। বাজার বাড়লে সবাই লাভবান হবে। আমরা বাজার এক যোগে বিনিয়োগ করতে চাই।
 
 

ডিজিটাল যাত্রায় সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত- জানতে চাইলে দেবু পুরকায়ন্থ বলেন, টেকনোলজি ইকো সিস্টেমের মধ্যদিয়ে আমরা প্রোডাক্ট তৈরি করছি। সেগুলো সাইবার হামলা হওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, কারণ প্রতিপক্ষ (সাইবার ক্রাইম) আরও শক্তিশালী হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৭/আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/বিএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।