ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবমুক্ত পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-বোর্ড ‘লজিটেক কে-১২০’

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
অবমুক্ত পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-বোর্ড ‘লজিটেক কে-১২০’ আন্তর্জাতিক পরিসরে অবমুক্ত পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-বোর্ড ‘লজিটেক কে-১২০’

আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-বোর্ড লজিটেক কে-১২০ অবমুক্ত করেছে কম্পিউটার সোর্স। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় বাংলা’র সর্বশেষ সংস্করণের নকশায় বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে এই বাংলা কি-বোর্ড প্রকাশ করা হয়।

প্রযুক্তিতে ভাষা মুক্তির আবহে কি-বোর্ডটির মোড়ক উন্মোচন করেন কম্পিউটার সোর্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুল আরিফ, বিজয় বাংলার প্রতিষ্ঠাতা মোস্তাফা জব্বার এবং লজিটেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সার্ক ও ভারত) মনিদ্র জেইন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লজিটেক ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের ক্লাস্টার ক্যাটাগরি বিভাগের প্রধান অশোক জানগ্রা, লজিটেক বাংলাদেশ ও ভূটান অঞ্চলের কান্ট্রি ম্যানেজার পার্থ ঘোষ, কম্পিউটার সোর্সের পরিচালক এ ইউ খান জুয়েল এবং আসিফ মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আসিফ মাহমুদ বলেন, ভাষা ও মানুষ অবিচ্ছেদ্য প্রত্যয়। একে অপরের সঙ্গে নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ। ভাষা অত্যন্ত প্রাণবন্ত এবং সর্বদা সচল। প্রযুক্তিও একই রকম, মানুষকে প্রাণচঞ্চল করে। দূরকে যেমন জয় করে, তেমনি জড়বস্তুর সঙ্গে মিতালী রচনা করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষার মানুষের চেয়ে বেশি। কেউ কেউ মনে করেন, ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যার বিচারে বাংলার অবস্থান চতুর্থ; আবার অনেকের মতে এই অবস্থানটি পঞ্চম।

পৃথিবীর কয়েক হাজার ভাষার মধ্যে চতুর্থ বা পঞ্চম যেকোনো একটি অবস্থানই বাংলাভাষী হিসেবে আমাদের জন্য গৌরবের। এই গৌরবকে ধরে রাখতে হলে সর্বস্তরে বিশেষ করে ওয়েব বিশ্বে; যান্ত্রিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলার ব্যবহার বাড়াতে না পারলে বিশ্ব জুড়ে থাকা ৩০ কোটি বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা ক্রমশই কমতে থাকবে।

তাই কম্পিউটার সোর্স নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে বিশ্বের অন্যতম কি-বোর্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লজিটেক -কে দিয়ে বাংলা কি-বোর্ড প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। আগামীতেও প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলা ভাষার মিতালী রাচনায় নতুন নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।      

বক্তব্যে কম্পিউটার সোর্স পরিচালক এ ইউ খান জুয়েল বলেন, আমরা শুরু থেকেই প্রযুক্তি সেবা মানুষের দোর গোড়ায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি। আমাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে আজ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত মানুষের ঘরে ঘরে কম্পিউটার ও প্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে গেছে।

লজিটেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সার্ক ও ভারত) মনিন্দ্র জেইন বলেন, দুনিয়া জুড়ে বাংলা ভাষার রয়েছে একটি স্বাতন্ত্র্য ঐতিহ্য। এই বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক অনন্যতার জন্যই প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষা ও এ দেশের মানুষের ভাষার প্রতি যে ভালোবাসা তার প্রতি সম্মান দেখিয়েই আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজির পর প্রথমবারের মতো লজিটেক কে ১২০ বাংলা কি বোর্ড বাজারজাত শুরু করলাম।

আমাদের বিশ্বাস এই কি-বোর্ডটি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বাংলাভাষী মানুষের কাছে নিজেদের কি-বোর্ড হিসেবে বিবেচিত হবে।      

বিজয় বাংলা কি-বোর্ড জনক এবং বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘লজিটেক কে ১২০ বাংলা কি বোর্ড’ পূর্ণাঙ্গ একটি বাংলা কি-বোর্ড। এটি বিজয়’র তৃতীয় সংস্করণ। এই কি-বোর্ড বাংলাভাষীদের ঐতিহ্যকে যেমন লালন করছে তেমনি লুপ্ত ভাষা সাহিত্যকে ফিরিয়ে আনতেও অবদান রাখবে।  

ইউনিকোড বিধিসম্মত দুই স্তরের এই কিবোর্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে প্রাচীন বাংলার লুপ্ত চিহ্ন ও লিপি। এটি বাংলা লিপি ব্যবহারকারী অসমীয়া, মনিপুর, নাগা, চাকমারাও ব্যবহার করতে পারবেন।

আমাদের বিশ্বাস, কম্পিউটারে পূর্ণাঙ্গ বাংলা লেখার জন্য এই কি-বোর্ড লেখক-প্রকাশক থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আরাধ্য হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
এসজেডএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।