ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘আচমকা’ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ক্যাবল অপারেটররা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
‘আচমকা’ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ক্যাবল অপারেটররা ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: ক্যাবল অপারেটর লাইসেন্স পেতে বাংলাদেশ ক্যাবল টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (সিনওয়া) নামের একটি সংগঠনের সদস্যপদ থাকা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

সিনওয়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অবাণিজ্য সংগঠন যা কোনো ক্যাবল ব্যাবসায়ীদের বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ক্যাবল অপারেকটরা।
                      
গত ১৭ এপ্রিল তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন ‌আসার পর ক্যাবল অপারেটর ব্যবসায়ীরা হতবাক হয়েছেন।

তাদের অনেকেই এটাকে ‘হাস্যকর’ এবং ‘আচমকা’ বলে উল্লেখ করছেন।
 
যোগাযোগ করা হলে সিনওয়া-এর প্রধান মীর হোসাইন আক্তার নিজেকে ৯০এর দশকের ক্যাবল ব্যবসায়ী পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় এবং বিটিভি এতোদিন ধরে তার সঙ্গেই বৈঠক করেছে। ’
 
কিন্তু সিনওয়া-এর কতজন সদস্য আছেন বা ক্যবল অপারেটরদের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ আছে কি না জানতে চাইলে সরাসরি কথা বলতে চান মীর আক্তার।
 
এরপর তিনি ‘কথা বুঝছেন না’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
 
ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর সমন্বয় কমিটির আহবায়ক শামসুর রহমান শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিক অপরিচিত সংগঠন ‘সিনওয়া’র সদস্যপদ বাধ্যতামূলক করে একটি উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’
 
 
তিনি বলেন, রোববার (২৩ এপ্রিল) এর প্রতিবাদে ক্যাবল অপারেটররা তথ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া একটি সংবাদ সম্মেলনেরও ডাক দিয়েছেন তারা।
 
বর্তমানে কোয়াবের প্রশাসক পদে থাকা ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এরকম একটি চিঠির কথা আমি শুনেছি। এখন মন্ত্রণালয় কিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানা নেই। চিঠি পেলে হয়তো দেখতে পারবো কি বিষয়। ’
 
শামসুর রহমান শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, আইন অনুয‍ায়ী অপারেটররা লাইসেন্স নিতে হলে কোয়াব সদস্যপদ অথবা চেম্বার অব কমাস বা বাণিজ্যিক সংগঠনের সদস্যপদ দেখাতে হয়। কিন্তু সিনওয়া কোনো বাণিজ্যিক সংগঠন নয়। এ নামে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া কোনো সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুসারে তারা সরকারের চেয়েও শক্তিশালী একটি কর্তৃপক্ষ হয়ে যাচ্ছে যাদের আসলে কোনো ভিত্তি নেই।
 
শামসুর রহমান আরো বলেন, ‘এটা সম্পূণ অযৌক্তিক একটি সিদ্ধান্ত। তথ্যমন্ত্রী বিষয়টি পুনর্বিবেচনা নিশ্চয়ই করবেন। কেননা, কোয়াব টিও লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং সারাদেশে ক্যাবল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্ব করে। সারাদেশের তার সাড়ে চার হাজার ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
 
ক্যাবল অপারেকটরদের সিনওয়ার সদস্যপদ বাধ্যতামূলক- এমন নির্দেশনার পরই ক্ষেপেছেন সারাদেশের ক্যাবল অপারেটর। ১৯৯৮ সালে তাদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন কোয়াবের সদস্য পদ বা অন্য কোনো বাণিজ্য সংস্থার সদস্য পদ ব্যবহার করে এতোদিন ক্যাবল অপারেটররা লাইসেন্স পেতেন।
 
কোয়াবের একজন নেতৃস্থানীয় বলেন, যে সংগঠনের এখন সদস্যপদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ওই সংগঠন ব্যক্তিকেন্দ্রিক। আর অপারেটর হিসেবে মীর হোসেইন আক্তারের লাইলেন্সই নবায়ন করা হয়নি বছরের পর পর।                     ।
 
শামসুর রহমান বলেন, ‘ এটা সম্পূণ অযৌক্তিক একটি সিদ্ধান্ত। তথ্যমন্ত্রী বিষয়টি পুনর্বিবেচনা নিশ্চয়ই করবেন। কেননা, কোয়াব টিও লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং সারাদেশে ক্যাবল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্ব করে। সারাদেশে তার সাড়ে চার হাজার ক্যাবল অপারেকটর প্রতিষ্ঠান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
এসএ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।