ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইটি ফার্মগুলোর রোল মডেল হওয়ার সুযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
আইটি ফার্মগুলোর রোল মডেল হওয়ার সুযোগ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কেককাটা হয় - ছবি- রানা

ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও বেশি বেগবান করতে সরকার আইটি ফার্মগুলোকে সবধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করছে। তাই ফার্মগুলোর সামনে রোল মডেল হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ দেখছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (০৩ মে) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’র (বিসিসি) কনফারেন্স রুমে কম্পিউটার কাউন্সিল ও কাজী আইটি সেন্টারের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এনামুল কবির ও কাজী আইটি সেন্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক কাজী সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

 

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২ বছরে এখাতে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। এসময় তিনি কাজী আইটি’কে রোল মডেল উল্লেখ করে বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো তাদেরকে অনুকরণ করতে পারে। কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজধানীর বাইরে প্রতিষ্ঠানগুলো যেতে ইচ্ছুক হয় না। কিন্তু তারা রাজধানীর বাইরে রাজশাহীতে একটি প্রতিষ্ঠান করতে যাচ্ছে। যেখানে কমপক্ষে ১ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এতে করে সরকারের সারাদেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে পূরণ হবে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষ লোকেরা ভালো প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে না, আবার ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষ জনবল পাচ্ছে না। ফলে এ দুইয়ের ব্যবধানে আইটি সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যতদ্রুত সম্ভব আমাদেরকে এর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।   

কাজী আইটি’র পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক কাজী বলেন, আমাদের প্রচুর লোকের প্রয়োজন, কিন্তু আমরা দক্ষতাসম্পন্ন লোক পাচ্ছি না। এ মুহূর্তে ১০ হাজার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোক পেলেও আমরা নিয়োগ দেবো। কেননা আমাদের দক্ষ লোকের প্রয়োজন রয়েছে।  

সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে সময় দিচ্ছে, এটা অনেক বড় পাওয়া। আমরা চাই সরকার সবসময় আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। এখাতে প্রচুর বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কাজী আইটি সেন্টারের পরিচালক সবুর কাজী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, এলআইসিটি প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল করিম এনডিসি, এলআইসিটি প্রকল্পের কম্পোনেন্ট টিম লিডার সীমা আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ০৩,২০১৭
এসজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।