সম্প্রতি সুন্দরবনে রিভার ক্রুজে ল্যাপটপ দু’টি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান।
তিনি বলেন, পেশাদার ব্যবহারের জন্য ল্যাপটপ দু’টিতে দুদার্ন্ত সব সুবিধা রয়েছে।
ল্যাপটপ দু’টি উন্মুক্ত করার অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৩ ইঞ্চি স্ক্রিনের ৭৩৭০ এবং ১৫ ইঞ্চির ৭৫৭০ মডেলের ল্যাপটপ দু’টিতে হাইরেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে, ভিডিও এডিটিং, ফটোএডিটিং, বাফারিংমুক্ত ভিডিও স্ট্রিমিং, দুর্দান্ত অডিও উপভোগ করা যাবে।
যারা ল্যাপটপ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ সেবা বা পারফরম্যান্স খুঁজছেন, তাদের কথা ভেবেই ইন্সপাইরন ৭০০০ সিরিজের এই ল্যাপটপগুলো তৈরি করা হয়েছে।
অসাধারণ পারফরম্যান্সের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে ল্যাপটপ দু’টিতে রয়েছে উচ্চমানের ফিচার ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। হালকা, পাতলা, শৌখিন ডিজাইন ও সর্বশেষ প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি সুন্দর এই ডিভাইস সবার নজর কাড়বে।
ফুলএইচডি (১৯২০ x ১০৮০) রেজ্যুলেশনের আইপিএস এলসিডি ও প্রায় বেজেলবিহীন টাচস্ক্রিন চোখজুড়ানো ছবি দেখাতে সক্ষম। প্রখর আলোতেও কাজ করার জন্য ১৩ ইঞ্চি মডেলে রয়েছে ৩০০ নিট ঔজ্জ্বল্য।
এরপর যাদের আরও অসাধারণ ডিসপ্লে প্রয়োজন তাদের জন্য ১৫ ইঞ্চি মডেলে রয়েছে প্রিমিয়াম ৪কে আল্ট্রা এইচডিডিসপ্লে। এটি ১০০ শতাংশ এডোবি আর জিবি কালার দেখাতে সক্ষম। এর সঙ্গে থাকছে ৩৫০ নিট পর্যন্ত উজ্জ্বলতা।
প্রতিটি ল্যাপটপে রয়েছে পেশাদার টিউনিং সফটওয়্যার ওয়েভসম্যাক্স অডিও দ্বারা টিউন করা স্পিকার। যেখানে পেছনে রয়েছে উন্নত মানের প্রসেসিং। সব মিলিয়ে পাওয়া যাবে পেশাদার মানের সাউন্ড। তাই গান ও সক প্রকার শব্দ সঠিকভাবে উপভোগের মাধ্যমেই শোনা যাবে।
ভিডিওস্ট্রিম করার সময় ল্যাগ দূর করার জন্য রয়েছে স্মার্টবাইট, যা ইন্টারনেট কানেকশনকে অপটিমাইজ ব্যান্ডউইডথের মাঝে ভিডিওকে প্রাধান্য দেবে। এর ফলে ব্রাউজ করার সময়ও ভিডিওতে বাফারিং হবে না।
নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য দেওয়া হয়েছে সর্বশেষ ইন্টেল কোর সিরিজের প্রসেসরসমূহ (যথাক্রমে কোর আই৫ ও আই৭)। থাকছে ১৬ গিগাবাইট ডিডিআর৪ র্যাম ও সর্বোচ্চ ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত এসএসডি (প্রয়োজনে এনভিএমই পিসিআই-ই এসএসডি ও রয়েছে)।
গ্রাফিক্সের পারফরম্যান্স আরও বাড়াতে ১৫ ইঞ্চি মডেলে রয়েছে এনভিডিয়া গ্রাফিক্স ব্যবহারের সুবিধা। সর্বোচ্চ ৪ গিগাবাইট জিডিডি আর ৫ ভিডিও মেমোরি-সমৃদ্ধ জিপি নিশ্চিত করবে গ্রাফিক্স নির্ভর সব অ্যাপ্লিকেশনের দ্রুত পারফরম্যান্স।
ল্যাপটপ দু’টির দু’পাশে সজ্জিত রয়েছে ইউএসবি ৩.১ জেনারেশন ১ টাইপ সি পোর্ট, যা ডিসপ্লে পোর্ট ও পাওয়ার দু’ভাবেই ব্যবহার করা যাবে। সঙ্গে থাকছে এইচডিএমআই ২.০ পোর্ট, ৩:১ কার্ডরিডার, দু’টি ইউএসবি ৩.১ জেনারেশন ১ পোর্ট, যার একটি অন্য ডিভাইস চার্জে ব্যবহার করা যাবে। ১৫ ইঞ্চি মডেলে এর বাইরে রয়েছে আরও একটি ইউএসবি ৩.১ জেনারেশন ১ পোর্ট।
ল্যাপটপ দু’টি পাওয়া যাবে দু’টি রঙে, পিঙ্ক শ্যাম্পেন ও প্লাটিনাম সিলভার। আকর্ষণীয় ও সহজেই বহনযোগ্য এই ডিভাইস দু’টি সহজেই হাতের সঙ্গে মানিয়ে যাবে।
সেরা অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারে। পাওয়ার বাটনের মাঝে অবস্থিত ফিংগার প্রিন্ট রিডার। ল্যাপটপ দু’টিতে রয়েছে সর্বশেষ অফিস অ্যাপ্লিকেশনসমূহ, ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট ও ওয়াননোটের অফিস ২০১৬।
ল্যাপটপ দু’টির প্রসেসরগুলো অষ্টম প্রজন্মের। গ্রাফিক্স চিপ টিজিফোর্স ৯৪০এমএক্স মডেলের। ১৩ ইঞ্চি ল্যাপটপটির ওজন ১ দশমিক ৪ কেজি ও ১৫ ইঞ্চিটির ১ দশমিক ৯ কেজি। দীর্ঘ সময় কাজ করার জন্য ১৩ ইঞ্চি মডেলের ল্যাপটপটি ৯ ঘণ্টা ৩১ মিনিট ও ১৫ ইঞ্চি মডেলের ল্যাপটপটির ৮ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত ব্যাটারি সক্ষমতা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এসএ/এইচএ/