ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দুই টাকায় ‘ডাক টাকা’, সহজ হচ্ছে লেনদেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
দুই টাকায় ‘ডাক টাকা’, সহজ হচ্ছে লেনদেন ‘ডাক টাকা’র উদ্বোধন করেন সজীব ওয়াজেদ জয়

ঢাকা: ব্যাংকিং খাতের বাইরে থাকা তিন কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য ‘ডাক টাকা’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক গ্রাহকের প্রথম ‘ডাক টাকা’র হিসাব খোলার মধ্য দিয়ে এ সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে। ডাক টাকা’র প্রথম গ্রাহক টাঙ্গাইলের মর্জিনা বেগম।


 
ডাক বিভাগের টেকনিক্যাল পার্টনার ও পেমেন্ট সুইচ প্রোভাইডার আইটিসিএল এবং এ সেবা প্রদানকারী সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ডি-মানি’র মাধ্যমে খুব সহজেই ‘ডাক টাকা’ অ্যাকাউন্ট খুলে পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ-ইন ও ক্যাশ-আউট করা সম্ভব হবে। নামমাত্র ব্যালান্স জমার মাধ্যমে বিনামূল্যে হিসাব খুলতে পারবেন গ্রাহকরা।     
 
‘ডাক টাকা’র মাধ্যমে দেশের আট হাজারের বেশি ডাকঘর ছাড়াও পোস্টাল ক্যাশ কার্ড, অ্যাপসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ক্যাশ-ইন ও ক্যাশ-আউট করা যাবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।  
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডি-মানির অঞ্জন চৌধুরী এবং কর্মকর্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  
 
ডাক টাকা’র ব্যবহার ও সুবিধা তুলে ধরে ডি-মানির ভাইস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া বশির কবির জানান, ‘ডাক টাকা’ হচ্ছে একটি ডিজিটাল ওয়ালেট, ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সেবাটি ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে মার্চেন্ট ও খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের অংশ হওয়া যাবে।
 
নাগরিকদের সেবার কথা বিবেচনা করে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) এবং কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোড সুবিধা রাখা হয়েছে। ‘ডাক টাকা’ ব্যবহারকারীরা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে লেনদেন করতে পারবেন।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জয় বলেন, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হচ্ছে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও শেষ একটি পর্যায়, এটা ডিজিটাল বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত করে। আমরা সরকারি সেবা ডিজিটাল করছি। আমরা চাই মানুষের জীবন সহজতর করতে যাতে, সরকারি সেবাসহ ভাতা পাওয়া এবং সব সেবা মোবাইলের মাধ্যমে পেতে পারেন। তবে টাকাকে ডিজিটাল না করা পর্যন্ত এটা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব না।
 
ডাক বিভাগের যেহেতু আট হাজারের উপর ডাকঘর আছে, গ্রামে ইউনিয়ন পর্যায়ে সব ব্যাংকের শাখা থাকে না। শাখা বানাতে অনেক সময় ও টাকা লাগে। এ ডিজিটাল টাকা মানুষের হাতে কীভাবে পৌঁছাবো? আমাদের চিন্তা ছিলো ডাকঘর দিয়ে এ সেবাটা মানুষের কাছে পৌঁছাবো, যাতে তারা সেখানে বসেই টাকা লেনদেন, ভাতা পাওয়া এবং খরচ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করতে পারেন।
 
এ সফটওয়্যার সিস্টেম দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জয় বলেন, আশা করি এটি সফল হবে এবং যতো বেশি মানুষ বেশি ব্যবহার করতে পারবেন দেশের মানুষের সেবা তাতে সহজ হবে। আমি খুবই আনন্দিত যে মাত্র দুই টাকা দিয়ে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করা যাচ্ছে। এতে আমাদের গ্রামের মানুষ লাভবান হবেন।
 
ডাক বিভাগ ডিজিটালাইজেশনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে জানিয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, মোটামুটি ২০০টি অটোমেশন করে ফেলেছি। আমাদের লক্ষ্য ২০১৮ সালের মধ্যে ব্যাংকের সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন তিন কোটি মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এ পদক্ষেপ হবে অনবদ্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭/আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।