ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ল্যাপটপ মেলার উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
ল্যাপটপ মেলার উদ্বোধন ১৯তম ল্যাপটপ ফেয়ারের উদ্বোধন/ছবি: বাদল

ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ল্যাপটপ ফেয়ার-২০১৭। এ মেলায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাপটপসহ সর্বশেষ প্রযুক্তি-পণ্য নিয়ে এসেছে।  

‘শোক থেকে শক্তি, প্রযুক্তিতে মুক্তি’ স্লোগানে বিকেল ৪টায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

এক্সপো মেকারের আয়োজনে এটি দেশের ১৯তম ল্যাপটপ প্রদর্শনী।

এবারের আয়োজনে একটি মেগা প্যাভিলিয়ন, পাঁচটি স্পন্সর প্যাভিলিয়ন, ১৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৭ স্টলে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তির পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছে। মেলায় একটি মিডিয়া বুথও রয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, এক সময় যে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতো সেই ছিল সব থেকে ধনী। আর এখন যার মেধা আছে সেই ধনী। এই তরুণ প্রজন্ম মেধা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশকে এগিয়ে নেবে তরুণরাই।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, এক সময় বাংলাদেশ প্রযুক্তির দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল, এখন শুধু সমতা অর্জনই নয়; নেতৃত্বের জায়গায় চলে এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের শুধু ডিজিটাল যন্ত্র তৈরি করলে চলেবে না, ডিজিটাল কনটেন্টও তৈরি করতে হবে। আর সে কাজ করবে তরুণরা।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাংবাদিক-নির্মাতা বিপুল রায়হান। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’ এর প্রধান নির্বাহী কাজল আব্দুল্লাহ।

এছাড়া বিজয়ের মাসে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের এ মেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গণহত্যার ইতিহাস ডিজিটাল মাধ্যমে তুলে ধরবে ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর’। প্যাভিলিয়নে থাকবে একাত্তরে দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংঘটিত বিভিন্ন গণহত্যা এবং সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন ইতিহাস ও ছবি। তবে সেখানে তরুণ প্রজন্মকে জানানোর জন্য প্রযুক্তির সহায়তায় সে সব ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা রয়েছে।

আর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেলায় গণহত্যা প্যাভিলিয়নে রয়েছে নানা আয়োজন।

এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খান জানান,  ল্যাপটপের পাশাপাশি মেলায় সর্বশেষ প্রযুক্তি ও ডিজাইনের ডিভাইস নিয়ে হাজির হয়েছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর সর্বশেষ মডেলের ল্যাপটপের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশও পাওয়া যাচ্ছে। সব ধরনের পণ্যেই পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ ছাড় এবং সঙ্গে উপহার।

তিনি বলেন, আগের মেলাগুলোতে শিক্ষার্থী, তরুণ প্রজন্মসহ সবার অংশগ্রহণ ছিল প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। আশা করছি এবারের মেলা আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা। তবে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় কিংবা পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদেরও বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। মেলায় টিকিটের অর্থ দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন সাংবাদিকের চিকিৎসায় সহায়তা হিসেবে দেওয়া হবে।

মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে টেকশহরডটকম। সহ-পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে এসার, আসুস, ডেল, এইচপি, লেনোভো। টিকিট বুথ স্পন্সর আরওজি। নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে এডুমেকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭ 
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।