বুধবার (১৭ অক্টোবর) ফেসবুকে বিনিয়োগ করে এমন অংশীদাররা এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ইলিনয়, রোড আইল্যান্ড ও পেলসেলভিনিয়ার রাষ্ট্রীয় রাজস্বের সঙ্গে জড়িতরা এবং নিউইয়র্ক সিটির কন্ট্রোলার স্টক স্ট্রিনজার যৌথভাবে এ প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মে মাসে অনুষ্ঠেয় অংশীদারদের বৈঠকে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে। যেখানে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে তারা ফেসবুকের প্রধানের পদটিকে স্বাধীন চান কি-না।
তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
নিউইয়র্ক সিটির কন্ট্রোলার স্টক স্ট্রিনজার বলেন, আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিতে মারাত্মকভাবে খারাপ প্রভাব ফেলছে ফেসুবক। প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছ হওয়ার জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে আমরা এর স্বাধীন ও গ্রহণযোগ্য পর্ষদ দাবি করছি।
প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণায় কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা থেকে মার্কিন ডেটা বিশ্লেষণসহ বেশ কিছু বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ফেসবুক। স্বাধীন বোর্ড না থাকায় এ বিষয়গুলো ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
এ বছরেরই এপ্রিলে দায়ের করা এক অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফেসবুকের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ক্ষমতা থাকে মার্ক জাকারবার্গের।
ফেসবুক শেয়ারের ৪৫ লাখ রয়েছে নিউইয়র্ক সিটি পেনশন ফান্ডের, ৩৮ হাজার ৭৩৭ শেয়ার রয়েছে পেলসেলভিনিয়া রাজস্বের ও ৫৩ হাজার শেয়ার রয়েছে ট্রিলিয়াম কোম্পানির।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এএইচ/টিএ