‘সৌর বেজ স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিটক নেটওয়ার্ক কভারেজ শক্তিশালী করণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪০৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
টেলিটক সূত্র বলছে, দুর্গম অঞ্চলে টাওয়ার বেজ স্টেশনের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া প্রায় অসম্ভব। সেলুলার নেটওয়ার্ক স্থাপনে কৌশলগতভাবে চ্যালেঞ্জিংও। ডিজেল জেনারেটর সহায়তায় দুর্গম এলাকায় সৌর বেজ স্টেশন স্থাপন করাও ব্যয় বহুল। এছাড়া এটি পাহাড়ি ও বনাঞ্চলে জীববৈচিত্র্যের জন্যেও ক্ষতিকর।
তবে সৌরচালিত স্টেশনের মাধ্যমে নিম্ন পাওয়ার বেজ স্টেশন স্থাপন করা হলে নেটওয়ার্ক পরিচালনা ব্যয় কম হবে। যা দেশের দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপন সহজ হবে। ফলে যেসব জায়গায় বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের সেবা বিস্তৃত হয়নি সেসব স্থানে জনগণকে টেলিটকের নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাহাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, দেশের কিছু দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ বেইজ স্টেশন স্থাপন করা কঠিন। এসব অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎ বেজ টেলিটক স্টেশন স্থাপন করে গ্রাহকদের ফোরজি সুবিধা দেওয়া হবে। বেসরকারি কোম্পানির মতোই গ্রাহকরা সুবিধা পাবেন এসব এলাকায়।
‘আমরা প্রকল্পটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নিচ্ছি না। শুধুই গ্রাহকদের সুবিধা দিতে চাই। অনেক বেসরকারি কোম্পানি দুর্গম এলাকায় যায়নি। আমরা দেশের মানুষের স্বার্থে এসব এলাকায় যেতে চাই। ’
প্রকল্পের আওতায় সফটসুইচেস, মিডিয়া গেটওয়ে সম্প্রসারণ সুবিধা থাকবে। রেডিও একসেস নেটওয়ার্ক, সর্ট হল ট্রান্সমিশন এবং লং হল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
চলতি বছর যেকোনো সময় প্রকল্প কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে টেলিটক সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এমআইএস/এমএ