ল্যাপটপ লেভেলের প্রসেসর ব্যবহার করায় ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনেই নেটবুক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যা ব্যবহারকারীর কাজের গতিকেও বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীরা চার্জ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হন। কিন্তু হুয়াওয়ে মেইট ২০ সিরিজের স্মার্টফোন ব্যবহারে চার্জের সমস্যা নিয়ে ভাবতে হবে না আর। মাত্র পাঁচ মিনিটের চার্জে সারাদিন ব্যবহার করা যাবে।
মেইট ২০ সিরিজের ডিভাইসে রয়েছে ৪২০০ এমইএইচ ব্যাটারি। দ্রুত চার্জের জন্য রয়েছে তার এবং তারবিহীন সুপার চার্জের সুবিধা। সেসঙ্গে রয়েছে চমকপ্রদ রিভার্স চার্জিং সিস্টেম। এর মাধ্যমে চার্জ ফুরিয়ে গেলে আরেকটি মেইট স্মার্টফোনের সঙ্গে পাশাপাশি ধরেই চার্জ করা যাবে। চার্জারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ফোনে জার্মানির টিইউভি সার্টিফাইড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
এসব ইউনিক সুবিধার পাশাপাশি সেটটি ব্যবহারকারীর ভয়েসেই আনলক হবে।
হুয়াওয়ে মেইট ২০ সিরিজের চারটি আলাদা সংস্করণে রয়েছে বন আইডি (ভয়েস রিকগনিশন) প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে ব্যাবহারকারীর ভয়েসের মাধ্যমে সহজেই ফোনটি আনলক করা যাবে। এছাড়া আঙুলের ছাপ এবং থ্রিডি ফেইস আইডির মাধ্যমেও ফোনটি আনলক করা যাবে।
ছবি তোলার ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীরা ফোরকে ক্যামেরার মমো সুবিধা পাবেন।
এই সিরিজের স্মার্টফোনে রয়েছে তিনটি অত্যাধুনিক ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। একটি ৪০ মেগা পিক্সেল, একটি ৮ মেগা পিক্সেলের টেলিফটো এবং অন্যটি ২০ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ক্যামেরা। সব মিলিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২৭০ মিলি মিটার জুম লেন্সের সুবিধা পাওয়া যাবে ফোনটিতে। এছাড়া ফোনটি দিয়ে মাত্র আড়াই সেন্টিমিটার দূরত্বেও স্বচ্ছ ছবি তোলা যাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সুবিধা থাকা এ ডিভাইসের ক্যামেরা শুধু ছবি তোলার জন্যই নয়, বিভিন্ন তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করবে।
গত ১৬ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের বাজারে আসা হুয়াওয়ের প্রিমিয়ার সেগমেন্টের সর্বাধুনিক ফোন হুয়াওয়ে মেইট ২০ সিরিজ ২৬ অক্টোবর চীনের সাংহাইতে উদ্বোধন করা হয়।
ফ্লাগশিপ এ ডিভাইসের প্রসেসর হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চিপ কিরিন ৯৮০। ৬.৫, ৬.৩ এবং ৭.২ ইঞ্চি -এ তিনটি আকারের ফুল ওএলইডি পর্দার ফোন পাওয়া যাবে। রম আর র্যামের চারটি ভিন্ন কনফিগারেশনের মধ্যে সর্বনিম্ন র্যাম ৬ জিবি এবং রম ৫১২ জিবি।
পানি ও ধুলোবালি নিরোধক এ ফোনটিতে রয়েছে তারবিহীন প্রজেক্টর সুবিধা।
মেইট ২০ এর ডিজাইনেও এসেছে পরিবর্তন। আগের স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় বেড়েছে পর্দার আকার। বেশিরভাগ স্মার্টফোনে পেছনে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সুবিধা থাকলেও মেইট ২০- তে সেটি ভেসে উঠবে সামনের পর্দাতেই।
১৬ অক্টোবর থেকে ইউরোপের বাজারে আসা মেইট সিরিজের ফোনটির সর্বনিম্ন মূল্য ৭৯৯ ইউরো এবং সবচেয়ে দামি পোরশে ডিজাইনে মেইট ২০ সর্বোচ্চ মূল্য ২০৯৫ ইউরো ।
বাংলাদেশে নভেম্বরের মাঝমাঝি থেকে ফোনটি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এমঅাইএইচ/এএটি