ভারত ছাড়া এশিয়ার এ আটটি দেশ থেকে কেনা ৮৩ শতাংশ নতুন সিস্টেমেই রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের নকল সফটওয়্যার। যার জেরে হ্যাকিংয়ের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের।
মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফটের পরীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এ পরীক্ষা চালাতে নয়টি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কেনা হয়েছিলো ২২টি করে কম্পিউটার।
ব্যক্তিগত ব্যবহারকারী কম্পিউটারের হালহকিকৎ জানতে চলতি বছরের মে ও জুলাই মাসে এশিয়ার নয়টি দেশ থেকে ১৯৮টি কম্পিউটার কেনে মাইক্রোসফট। তারপর কম্পিউটারগুলিকে সিঙ্গাপুরে অবস্থিত এশিয়ার ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিটে পরীক্ষা করে মাইক্রোসফট। সেখানেই পিসিতে নকল সফটওয়্যারের ব্যবহারের চিত্রটি উঠে আসে।
দেখা যায়, ভারত থেকে কেনা কম্পিউটারের ৯১ শতাংশতেই রয়েছে নকল সফটওয়্যার। এমনটাই জানিয়েছেন, ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল কাউন্সেল ম্যারি জো শ্রেড। ভারতবাসীকে আসল সফটওয়্যার কেনা এবং তা ব্যবহারে অভ্যাস করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। শ্রেডের কথায়, ভারতের ২০টির মধ্যে ১৭টি কম্পিউটারেই মিলেছে ম্যালওয়্যার।
নকল সফটওয়্যার ব্যবহারে ভারতের পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নাম (৯০ শতাংশ)। এরপর রয়েছে তাইওয়ান (৭৩ শতাংশ), সিঙ্গাপুর (৫৫ শতাংশ), ফিলিপিন্স (৪৩ শতাংশ)।
তবে সব থেকে খারাপ পরিস্থিতিতে আছে দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড। এ চার দেশ থেকে কেনা ১০০ শতাংশ কম্পিউটারেই রয়েছে নকল সফটওয়্যার। এ প্রসঙ্গে ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার নিয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়েছেন শ্রেড। তার কথায়, মাথায় রাখবেন, ফ্রি সফটওয়্যার আসলে কিন্তু ফ্রি নয়।
নকল সফটওয়্যার সস্তা হলেও আদতে এতে কাজ করতে বেশি সময় লাগে এবং ক্ষতিকারক ট্রোজান ভাইরাস থাকে। ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিটের সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তা শ্রেড আরও বলেন, ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সঙ্গে অ্যাপস শুধু কম্পিউটারের গতিকে মন্থর করে দেয় তা নয়, তথ্য চুরি করতে সুবিধা হয় হ্যাকারদের। আর এ কারণে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের পিসি থেকে প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে ছবি, ব্যাংকিং ইনফরমেশনসহ নানা গোপনীয় তথ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
ভিএস/এসএইচ/এমজেএফ