আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডিপ মাইন্ড ‘স্ট্রিমস’ নামের এই অ্যাপটি তৈরি করে।
প্রথমে ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে সতর্কতামূলক তথ্য লন্ডন হাসাপাতালে পাঠায় অ্যাপটি। তবে একই সঙ্গে গ্রাহকের তথ্য চুরির অভিযোগে খবরের শিরোনামেও উঠে যায় ‘স্ট্রিমস’।
অ্যাপটি গুগল কিনে নিচ্ছে-এমন খবর ডিপ মাইন্ড-ই নিজেদের ব্লগে জানিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সহযোগীদের সাহায্য করতে এআই প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যাপটি আরও বড় পরিসরে ব্যবহৃত হবে বলে ওই ব্লগে জানানো হয়।
তবে গুগলের অ্যাপটি কিনে নেওয়ার এমন সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকেই।
আইনজীবী ও গোপনীয়তা সম্পর্কিত আইন নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা জুলিয়া পাওয়েলস বলেন, ডিপ মাইন্ড বারবার ও বিনা শর্তে বলেছে, তারা ব্যবহারকারীদের সংবেদনশীল স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য গুগলের সঙ্গে বিনিময় করবে না। কিন্তু তারা এখন এটাই করছে। একে স্বচ্ছতা বলে না, বলে বিশ্বাস ভাঙা।
এ বিষয়ে ওই অ্যাপটির ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ডিপ মাইন্ড বলছে, রোগীদের তথ্য আমাদের পার্টনার হাসপাতালগুলোর মাঝেই থাকছে। আর এসব তথ্যের ওপর আমাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আছে। গুগলের কাছে অ্যাপটি গেলেও তথ্য কোনোভাবেই বেহাত হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএ/