চলতি বছরের জুন মাসে নরওয়েভিত্তিক টেলিনর গ্রুপ, বাংলাদেশে গ্রুপটির প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন এবং শিশু বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ এই সংস্থার যৌথ সমন্বয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ সময় ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রায় ৪ লাখ শিশু শিক্ষার্থীকে সাইবার খাতের নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে সচেতন করা হয়।
প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলোর এমন উদ্যোগের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।
এ বিষয়ে পলক বলেন, ‘বাবা-মা, শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে শিশুদের সুরক্ষিত করা এবং তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানানো আমাদের দায়িত্ব। শিশুরা অনলাইনে কি করছে সে বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার এবং অনলাইনে যেকোনো ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তাদের নিরাপদে রাখতে তারা অনলাইনে যেসব বিষয়বস্তু দেখছে বা জানছে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ’।
অধ্যাপক আবু সাঈদ বলেন, ‘তরুণদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যৎ নিহিত। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে শিশুদের ক্ষমতায়ন এবং ডিজিটাল রাজ্যে তাদের সুরক্ষিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইন্টারনেট অপরিহার্য। এবং একইসঙ্গে এটি সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের শিশুরা ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্রতীকূল অবস্থার পাশাপাশি, অনলাইনে নিরাপদ থাকার গুরুত্ব নিয়ে সচেতন’।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবিদি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি শিশু যেনো ইন্টারনেট থেকে উপকৃত হতে পারে, তাই শিশুদের, শিক্ষকদের এবং অভিভাবকদের জন্য অনলাইনে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায় এ বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এসএইচএস/জেডএস